—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির আগে হামলার তিব্রতা বাড়াল রাশিয়া। শুক্রবার রাত থেকে ওডেসা, দিনিপ্রো-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে ড্রোন হামলা। ওডেসার গভর্নর জানিয়েছেন, হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক জনের। গুরুতর আহত চার। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, শীতের শেষেই ইউক্রেনের রাজধানী কিভ দখলের জন্য বড় মাপের হামলা চালাতে পারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী।
সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে রুশ ফৌজের হামলায় ৬ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে জাতীর উদ্দেশে বক্তৃতায় কিভের বিরুদ্ধে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। শনিবার সেই যুদ্ধ পা দিল তৃতীয় বছরে। তার আগে থেকেই বেড়েছে হামলার তীব্রতা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির দফতরের শীর্ষ আধিকারিক ওলেক্সি কুলেবা শনিবার জানান, শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া হামলায় ৩১টি রুশ ড্রোনের উপস্থিতি তাঁরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন। তার মধ্যে ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স ব্রিগেডের প্রত্যাঘাতে ২৩টি ধ্বংস হয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের গোড়াতেই উপকূলবর্তী শহর ওডেসা এবং মারিয়ুপোল দখলের লক্ষ্যে অধিকৃত ক্রাইমিয়া বন্দর এবং কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন রুশ রণতরী এবং ‘অ্যাম্ফিবিয়ান ল্যান্ডিং ভেহিকল’ থেকে সেনা অবতরণ শুরু হয়ে গিয়েছিল। সাময়িক ভাবে পিছু হটলেও পরবর্তী সময়ে ওই এলাকা পুনর্দখল করেছিল জ়েলেনস্কির সেনা।
কৃষ্ণসাগর উপকূলের পাশাপাশি পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস (পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) এলাকাতেও দু’তরফের জোরদার সংঘর্ষ শুরু হয়েছে শুক্রবার রাতে থেকে। প্রসঙ্গত, সামরিক অভিযান ঘোষণার আগের দিন অর্থাৎ ২০২২-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি ডানবাসকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করেছিলেন পুতিন। গত দু’বছরে রুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ওই অঞ্চলে স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনীগুলির সহায়তায় কিছু জনপদ পুতিন বাহিনীর দখলে এসেছে।