২৭ ডিসেম্বর সিন্ধ প্রদেশের সিনঝিরো টাউনে একটি সর্ষের ক্ষেতে দয়ার দেহ উদ্ধার হয়। ছবি: প্রতীকী
পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নতুন নয়। তবে দয়া ভিলের মৃত্যুতে শিহরিত সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়। ইতিমধ্যে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। আতঙ্কিত তাঁর ছেলে। ২৭ ডিসেম্বর সিন্ধ প্রদেশের সংঘার জেলার সিনঝিরো টাউনে একটি সর্ষের ক্ষেতে দয়ার দেহ উদ্ধার হয়। দয়াকে খুঁজতে গিয়েছিলেন ছেলে সুমর। তিনিই দেখেন মায়ের মৃতদেহ। দেখে আতঙ্কিত সুমর জানান, যে ভাবে খুন করা হয়েছে তাঁর মাকে, মানতে পারছেন না। সুমরের কথায়, ‘‘যে ভাবে ওঁকে মারা হয়েছে, তা কষ্ট দিচ্ছে আমাদের।’’
দয়ার ৪ ছেলেমেয়ে। স্বামী নেই। সুমর বলেন, ‘‘রাতেও আমার মা ঘরে ফেরেননি। তার পর খুঁজতে বেরিয়েছিলাম। অনেক ক্ষণ খোঁজার পর তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ আমরা দেখতে পাই।’’
সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সিন্ধে মৃত মহিলার নাম দয়া ভিল। তাঁর মৃত্যুর পর বিক্ষোভ শুরু হয়েছে সিন্ধ প্রদেশে। ঘটনার কথা শোনার পর পাকিস্তান পিপ্লস পার্টির সেনেটর কৃষ্ণ কুমারী দয়ার গ্রামে ছুটে গিয়েছেন। তার পর এই ভয়ঙ্কর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন। কৃষ্ণ কুমারী থরপারকর সিন্ধের সেনেটর। দয়ার গ্রাম থেকে ঘুরে এসে কৃষ্ণ টুইটারে লিখেছেন, ‘‘সিনঝোরোতে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান ৪০ বছরের বিধবা মহিলা দয়া ভিল। তাঁকে নির্মম ভাবে খুন করা হয়েছে। ভয়ঙ্কর অবস্থায় তাঁর দেহ মিলেছে। তাঁর মাথা, দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ছিল।’’ ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন, ‘‘আমরা এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দেখেছি। এই নিয়ে নির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে আমরা আবারও বলব, সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা উচিত পাকিস্তানের। তাঁদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা, ভাল থাকার বিষয়ে নজর রাখা উচিত, যা তাদের দায়িত্ব।’’
সরকারি হিসাব বলছে, পাকিস্তানে হিন্দুদের সংখ্যা ৭৫ লক্ষ। প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাঁরা। এই নিয়ে অভিযোগ করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল ভারতও।