ছবি: সংগৃহীত।
অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) চূড়ান্ত তালিকা থেকে ১৯ লক্ষ মানুষের বাদ পড়া নিয়ে বিতর্কের উত্তাপ পৌঁছতে চলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের আসন্ন অধিবেশনে।
সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে ওই মঞ্চে শোরগোল বাধানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই মোদী সরকারকে সম্প্রদায়িক তকমা দিয়ে প্রচার শুরু করেছে ইমরান খানের সরকার। তারা ওই অধিবেশনে অভিযোগ আনবে যে, ভারত থেকে মুসলমানদের উৎখাত করার কৌশল হিসেবে এনআরসি-কে ব্যবহার করা হচ্ছে। হাত গুটিয়ে বসে নেই ভারতও। সূত্রের খবর, আক্রমণ আসন্ন ধরে নিয়ে জবাবি ব্যাখ্যাও তৈরি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, দু’তিনটি বিষয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবে দিল্লি। প্রথমত বলা হবে, এটি সরকারের সিদ্ধান্ত নয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, যাঁরা তালিকা থেকে বাদ পড়লেন, তাঁরা ১২০ দিনের মধ্যে ট্রাইবুনালে আবেদন করতে পারবেন। সেখানে আবেদন করতে না পারলে হাইকোর্ট এবং তার পরেও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা থাকবে। অসমে এখন ১০০টি ট্রাইবুনাল রয়েছে। আরও ১২০টি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার। তৃতীয়ত, বলা হবে ১৯৮৫ সালে ভারত সরকার এবং তৎকালীন অসম সরকারের মধ্যে হওয়া চুক্তির ভিত্তিতেই এনআরসি করা হয়েছে। এর মধ্যে মোদী সরকারের কোনও দুরভিসন্ধি নেই।