পাক-আফগান সীমান্তে আবার অশান্তির আঁচ। ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তানের তালিবান শাসকদের সঙ্গে এ বার সংঘাতে পাকিস্তান। গত সপ্তাহের সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে সোমবার ইসলামাবাদের আফগান রাষ্ট্রদূতকে তলব করে পাক বিদেশমন্ত্রক। পাক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, কাবুলের বিরুদ্ধে এক তরফা ভাবে সীমান্তে গোলা এবং মর্টার শেল ছোড়ার অভিযোগ তুলে কড়া কূটনৈতিক সতর্কবার্তা (ডিমার্শ) দেওয়া হয়েছে তালিবান রাষ্ট্রদূতকে।
পাকিস্তানের অভিযোগ, গত সপ্তাহে বালুচিস্তানের চমন সীমান্তে দু’দফায় হামলা চালিয়েছে আফগান বাহিনী। হামলায় কামান এবং ভারী মর্টার ব্যবহার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭ জন সাধারণ পাক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা প্রায় ৩০। ঘটনার পরেই আফগান সীমান্তের নজরদারির দায়িত্বপ্রাপ্ত ফ্রন্টিয়ার কনস্টেব্যুলারি বাহিনীকে সরিয়ে কিছু সীমান্ত চৌকির দায়িত্ব সেনাকে দেওয়া হয়েছে।
ইসলামাবাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে পাকিস্তান সরকার এবং সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। টিটিপি নেতৃত্বের সঙ্গে আফগান তালিবানের একাংশের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। ফলে সীমান্তে তালিবান সেনার হামলার নেপথ্যে ‘অন্য সমীকরণ’ রয়েছে বলে আশঙ্কা পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারের।
প্রসঙ্গত, পাক খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তান প্রদেশের পাশতুন গরিষ্ঠ এলাকার একাংশকে দীর্ঘ দিন ধরেই নিজেদের বলে দাবি করে পাকিস্তান। তালিবান জমানাতেও সেই দাবি প্রত্যাহার করা হয়নি। গত বছরের অগস্টে কাবুলে তালিবানের ক্ষমতা দখলের পরে পাকিস্তান ২,৭০০ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু তালিবান শাসকদের প্রবল বাধায় সেই কাজ শুরু করা যায়নি।