পাকিস্তানে বন্দি কুলভূষণ যাদব। —ফাইল চিত্র
আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পরেও, এ বার ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী কুলভূষণ যাদবকে নিয়ে নয়া কৌশল পাকিন্তানের? বুধবার ইসলামাবাদ দাবি করেছে, চরবৃত্তির অভিযোগে বন্দি কুলভূষণ যাদব মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানাতে চান না। তার বদলে তাঁর প্রাণভিক্ষার যে আবেদন এখনও ঝুলে রয়েছে তাই ফের তুলে ধরতে চান।
২০১৯-এর জুলাইয়ের পর, ঠিক এক বছরের মাথায় ফের উঠে এল কুলভূষণ যাদব ইস্যু। এ বার ভিন্ন প্রেক্ষিতে। এ দিন পাকিস্তানের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল দাবি করেন, মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য কুলভূষণ আর্জি জানাতে চান কিনা তা তাঁকে জিঞ্জাসা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা করতে রাজি হননি। তার বদলে এর আগে তিনি প্রাণভিক্ষার যে আর্জি পাক সরকারকে জানিয়েছিলেন তাই ফের এক বার তুলে ধরতে চেয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। এর সঙ্গে পাক সরকারের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এ-ও জানিয়েছেন কুলভূষণকে দ্বিতীয়বার কনসুলার অ্যাকসেস দেওয়া হবে।
ইমরান খান সরকারের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘‘চলতি বছরের ১৭ জুন ভারতীয় কুলভূষণ যাদবকে মত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানোর জন্য আইনি অধিকার প্রয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।’’ এর সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল তাঁর তরফে যে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানো হয়েছিল, তা ফের এক বার তুলে ধরার বিষয়েই জোর দিয়েছেন কুলভূষণ।
আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা খেল রাজ্য, রিভিউ পিটিশন খারিজ করল স্যাট
এর আগে গত বছর জুলাইয়ে কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ভারতের পক্ষেই রায় দেয় আন্তর্জাতিক আদালত। কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড রদ করে পুনর্বিচার করা উচিত পাকিস্তানের— নিজেদের পর্যবেক্ষণে জানায় আন্তর্জাতিক আদালত। কুলভূষণকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, কনস্যুলার অ্যাকসেস না দিয়ে পাকিস্তান ভিয়েনা চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলেও পর্যবেক্ষণে বলে আন্তর্জাতিক আদালতের ১০ সদস্যের বিচারপতির প্যানেল। সেই রায়ের উল্টোপথে হেঁটে এ দিন পাকিস্তান জানিয়েছে, কুলভূষণ নিজেই নাকি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে চান না।
আরও পড়ুন: সেনামুক্ত হটস্প্রিং, গালওয়ানে কাল শেষ হবে সেনা অপসারণ
২০১৬-এর ৩ মার্চ কুলভূষণকে গ্রেফতার করে পাক নিরাপত্তা বাহিনী। তার পর ২০১৭-র এপ্রিলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাক সামরিক আদালত। ওই সময় ভারতের তরফে জানানো হয়, নৌবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর ইরানে ব্যবসায়িক কাজে গিয়েছিলেন কুলভূষণ। সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পর তাঁকে কনসুলার অ্যাকসেস দেওয়া হয়।