প্রতীকী ছবি।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানকে তাদের আকাশপথে স্বাগত জানাল পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, করোনাভাইরাসের আবহে যে ভাবে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া, তার প্রশংসাও করল তারা।
বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকেই নানা প্রান্তে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া। ইটালি, ইরান, চিন-সহ করোনাভাইরাস সংক্রমিত বেশ কিছু দেশ থেকে ভারতীয়দের উদ্ধারের পাশাপাশি ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার মতোও কাজ করছে তারা। এমনকি, ভারতে আটকে থাকা বিদেশি নাগরিক এবং পর্যটকদের বিশেষ বিমানে সংশ্লিষ্ট দেশে পৌঁছে দিচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া।
করোনা সঙ্কটের মধ্যে এই উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাওয়ায় বহু দেশের প্রশংসা কুড়িয়েছে ভারতের এই বিমান সংস্থাটি। এ বার সেই তালিকায় ঢুকে পড়ল পাকিস্তানও। শুধু প্রশংসা করাই নয়, তাদের আকাশপথ ব্যবহারেরও অনুমতি দিল পাকিস্তান। এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, গত ২ এপ্রিল তাদের একটি বিমান মুম্বই থেকে ফ্রাঙ্কফুর্টে যাচ্ছিল। পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢোকার পর সে দেশের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন পাইলটরা। প্রথমে উত্তর না আসায় ফ্রিকোয়েন্সি বদলে ফের যোগাযোগের চেষ্টা করেন তাঁরা। পাকিস্তান এটিসি থেকে এ বার উত্তর আসে— ‘পাকিস্তানের আকাশে স্বাগত আপনাদের।’ পাক এটিসি থেকে এর পর বলা হয়, ‘এ রকম একটা অতিমারির আবহেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, আপনাদের জন্য আমরা গর্বিত।’
এয়ার ইন্ডিয়াকে আকাশপথ ব্যবহার করারও অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান। এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে জানানো হয়, করাচির আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় উড়ানপথের ১৫ মিনিট সময় বেঁচে গিয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি যখন ইরানের আকাশপথে ঢোকে, সে দেশের এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না পাইলটরা। তখন পাকিস্তান এটিসি ইরানের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের যোগোযোগ করিয়ে দেয়। অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে ইরানও সহযোগিতা করে বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। ফলে নির্ধারিত সময়ের অনেকটা আগেই ফ্রাঙ্কফুর্টে পৌঁছে যায় বিমানটি।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা-আক্রান্ত বেড়ে ৩৩৭৪, মৃত্যু ৭৭ জনের
আরও পড়ুন: রাত ৯টা ১০ মিনিটে আলো জ্বলবেই তো? নিশ্চিত করে বলা যাবে না