(বাঁ দিক থেকে) ইমরান খান, বুশরা বিবি এবং শাহবাজ শরিফ। —ফাইল চিত্র।
তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) বিক্ষোভ-আন্দোলন সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শুক্রবার। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জেলবন্দি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে নতুন করে সক্রিয়তা শুরু করল পাকিস্তান সরকার। হিংসাত্মক আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন করে আটটি মামলা দায়ের করা হল।
এই পরিস্থিতিতে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানিয়েছেন, হিংসা ঠেকানোর উদ্দেশ্যে বিশেষ দাঙ্গাদমন বাহিনী গড়া হবে। ইমরানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ ঘিরে অশান্তি এবং মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এ বার আমাদের হিংসা ঠেকাতে বিশেষ বাহিনী গড়ার জন্য পদক্ষেপ করতে হবে।’’ সে দেশের সংবাদপত্র ‘দ্য ডন’ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেই এ সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছে শরিফের দফতর।
ইমরান এবং বুশরার পাশাপাশি আলি আমিন গান্দাপুর, সালমান আকরাম রাজা এবং শেখ ওয়াকাস আক্রমের মতো পিটিআইয়ের প্রথম সারির নেতার বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানির মামলা দায়ের হয়েছে ইসলামাবাদের বিভিন্ন থানায়। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে পাকিস্তানে অশান্তি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা। ইমরান-সমর্থকদের ইসলামাবাদ অভিযান ঘিরে গত কয়েক দিন রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল পাক রাজধানী শহর। জেলবন্দি নেতা ইমরানের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন পর্যন্ত বিক্ষোভ-অভিযানের ডাক দিয়েছিল পিটিআই।
গোলমাল এড়াতে ইসলামাবাদে যে কোনও ধরনের জমায়েত বন্ধের নির্দেশ দেয় শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএলএন)-পাকিস্তান পিপল্স পার্টি (পিপিপি) জোট সরকার। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দলে দলে পিটিআই সমর্থক ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা হন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে মঙ্গলবার নিহত হন ছ’জন পুলিশকর্মী। তার পরে হাজারেরও বেশি পিটিআই নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।