India Pakistan Trade Relation

‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বা আলোচনার পরিস্থিতি নেই’! পাক বিবৃতি কাশ্মীরে ভোট ঘোষণার পরদিনই

সাউথ ব্লকের দাবি, ভারত বরাবরই প্রতিবেশি রাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বরং দু’দেশের সুস্থ বাণিজ্যিক সম্পর্কের পরিপন্থী সন্ত্রাসী আবহ তৈরির জন্য ইসলামাবাদকেই দুষছে কেন্দ্র।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৪ ১৮:২৭
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

২০১৯ সাল থেকে ভারতের সঙ্গে আলোচনা সম্পূর্ণ বন্ধ। থমকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও। এখনই এ সংক্রান্ত কোনও উদ্যোগ নেওয়ার সম্ভাবনাও তেমন নেই। এমনটাই জানালেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জ়েহরা বালুচ। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জ়েহরা বলেন, ‘‘২০১৯ সালে কাশ্মীরের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর থেকে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধই রয়েছে। হয়নি কোনও আলোচনাও।’’ পাশাপাশি এখনই ভারতের সঙ্গে পুনরায় বাণিজ্য শুরুর কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও জান পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।

Advertisement

২০১৯ সালের অগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার পরেই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। এর পর থেকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেরও অবনতি হয়েছে। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কোনও দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও হয়নি।

যদিও সাউথ ব্লকের দাবি, ভারত বরাবরই প্রতিবেশি রাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বরং দু’দেশের সুস্থ বাণিজ্যিক সম্পর্কের পরিপন্থী সন্ত্রাসী আবহ তৈরির জন্য ইসলামাবাদকেই দুষছে কেন্দ্র।

Advertisement

২০১৯ সালের ৫ অগস্ট কেন্দ্র সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার বিলুপ্তি ঘটায় কেন্দ্র। রাজ্যের তকমা হারানো জম্মু-কাশ্মীরকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে ভাগ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা। তার পর সেখানে জারি করা হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। দীর্ঘ টালবাহানার পর শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৮ ও ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর তিন দফায় উপত্যকায় ভোটগ্রহণ। গণনা হবে ৪ অক্টোবর। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট ঘোষণা হতেই পাকিস্তানের কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। ভোট যত এগোবে, কাঁটাতারের ও পার থেকে উস্কানি বহরে বাড়বে বলেই ধারণা তাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement