কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। — ফাইল চিত্র।
এ বার জমি দুর্নীতি মামলায় কাঠগড়ায় উঠতে চলেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিয়েছেন স্বয়ং কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গহলৌত। সূত্রের খবর, শনিবার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্নাটক হাই কোর্টে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি জমি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ করেন স্নেহাময়ী কৃষ্ণ নামে এক সমাজকর্মী। তাতে বলা হয়, ‘মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের (মুডা) জমি বেআইনি ভাবে বিলি করা হয়েছে। জেলাশাসক, ভূমি দফতরের আধিকারিকের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এবং শ্যালকও সেই দুর্নীতিতে জড়িত।’
স্নেহময়ীর দাবি ছিল, মল্লিকার্জুন জমির জন্য জাল নথিপত্র পেশ করেছেন ‘মুডা’র দফতরে। অন্য দিকে, পার্বতীকেও বেআইনি ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় (প্রাইম লোকেশন) বহুমূল্য জমির মালিকানা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে কর্নাটকের রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং রাজস্ব বিভাগের প্রিন্সিপাল সচিবকে চিঠিও লেখেন ওই সমাজকর্মী। এ বার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল গহলৌত।
কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর অবশ্য এর পিছনে বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘তড়িঘড়ি নির্দেশ দেওয়াতে এটাই স্পষ্ট হয়, রাজ্যপালের উপর কেন্দ্রের চাপ ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। আমরা সবাই সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে আছি।’’ কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার অপচেষ্টা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন কর্নাটকের মন্ত্রী এমবি পাটিলও।