অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ
হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ। জোর করে ধর্মান্তরকরণ। তার পর বিয়ে। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে এই ধরনের ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। পুলিশ-আদালতে গিয়েও অভিয়োগকারী পরিবারের সদস্যরা কার্যত কোনও সুবিচার পান না বলে অভিযোগও রয়েছে। কিন্তু এ বার এরকম একটি মামলায় বৃহস্পতিবার কার্যত নজিরবিহীন রায় দিল পাকিস্তানের একটি আদালত। ওই বিয়ে অবৈধ বলে রায় দিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ঘটনার সূত্রপাত এ বছরের জানুয়ারিতে। ওই সময় ক্লাস নাইনের ছাত্রী বছর পনেরোর এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় যুবক আলি রাজা সোলাঙ্গির বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ, জোর করে তাঁদের মেয়েকে হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত করা হয় এবং মুসলিম নাম দেওয়া হয়। তার পর ওই যুবক জোর করে কিশোরীকে বিয়ে করে। নাবালিকার বাবার দাবি, তাঁদের মেয়ে নাবালিকা।
আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক গুলাম আলি কানাসরো কিশোরীর বয়স সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখে রায় দেন, বিয়ের সময় মেয়েটি নাবালিকা ছিল। সিন্ধ শিশু বিবাহ রোধী আইনের ৩ ও ৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী ওই নাবালিকা বিয়ের উপযুক্তি ছিল না। আদালতে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের আধিকারিকরাও। অপহরণ, ধর্মান্তরকরণ বা বিয়ের সঙ্গে ঘটনায় যাঁরা যুক্ত, যাঁরা সাহায্য করেছেন বা প্ররোচনা দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: জেলের মধ্যে দেওয়ালে মাথা ঠুকে নিজেকে আহত করার চেষ্টা করল বিনয়
আরও পড়ুন: রেষারেষির জের! কোয়মবত্তূরে যাত্রিবাহী বাসে লরির ধাক্কা, মৃত ১৯
তবে ওই যুগলের দাবি, কিশোরী স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন। এ দিন কড়া নিরাপত্তায় নাবালিকাকে আদালতে আনা হয়। স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ আদালতে হাজির ছিলেন। তাই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি বা সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কায় ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয় আদালতের ভিতরে ও বাইরে।