ইমরান খানের গ্রেফতারির পর থেকে তাঁর অনুগামীরা ধারাবাহিক ভাবে হামলা চালাচ্ছেন পাকিস্তান সেনার উপর। ছবি: পিটিআই।
ইমরান খানের গ্রেফতারির পর থেকে তাঁর অনুগামীরা ধারাবাহিক ভাবে হামলা চালাচ্ছেন পাকিস্তান সেনার উপর। রওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতর, পাক সেনার লাহোরের কোর কমান্ডারের বাড়ি, করাচি, পেশোয়ারের সেনাশিবির আক্রান্ত হয়েছে। এমনকি, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কয়েক জন সমর্থককে বুধবার স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে সেনা শিবির লক্ষ্য করে গুলি চালাতেও দেখা গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার ইমরান সমর্থকদের সরাসরি হুমকি দিল পাক সেনা। বিবৃতিতে কোনও দলের নাম না করে জানানো হল, কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকেরা যদি সেনার কোনও ঠিকানায় হানা দেয় তবে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে। সাম্প্রতিক প্রশাসনিক ও বিচারবিভাগীয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে সেনার কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। ইতিমধ্যেই অশান্তি বাধানোর অভিযোগে হাজারেরও বেশি ইমরান সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পাক সেনা, রেঞ্জার্স এবং পুলিশ।
ঘটনাচক্রে, বুধবার সকালেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের সরকার জানিয়েছে ইমারনের গ্রেফতারিতে সেনার কোনও হাত নেই। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)-ই ‘আইন মোতাবেক’ গ্রেফতার করেছে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী ‘ক্যাপ্টেন’কে। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ সেনার উপর হামলাকারীদের সরাসরি ‘দেশদ্রোহী’ হিসাবে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানে আগেও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীরা গ্রেফতার হয়েছেন। যাঁরা এই বিষয়কে রাজনৈতিক হাতিয়ার করে সেনার উপর হামলা চালাচ্ছেন, তাঁরা দেশের শত্রু।’’