এই সেই ছবি। ছবি: টুইটার।
পাকিস্তানের করতারপুরে দরবার সাহিব গুরুদ্বারের সামনে মাথা না ঢেকে ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন সৌলেহা নামে এক মডেল। বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন ওই পাক মডেল। ইনস্টাগ্রামেই একটি পোস্ট দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না।
গত কাল একটি পোশাকের ব্র্যান্ডও গুরুদ্বারের সামনে দাঁড়ানো সৌলেহার কতগুলি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিল। সেই ছবিগুলিতেও পাক মডেলের মাথা ঢাকা ছিল না। শিরোমণি অকালি দলের মুখপাত্র মনজিন্দর সিংহ সিরসা বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেই তিনি লেখেন, ‘‘গুরুদ্বারের মতো পবিত্র স্থানে এই ধরনের আচরণ কোনও মতেই গ্রহণযোগ্য নয়।’’ টুইট করে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং পাক সরকারি কর্তাদেরও ট্যাগ করেন সিরসা। তাঁদের কাছে সিরসা অনুরোধ করেন, শিখদের পবিত্র ধর্মস্থান যেন পিকনিক স্পট না হয়ে ওঠে, সেটা খেয়াল রাখতে।
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই ছবিগুলি ইনস্টাগ্রাম থেকে মুছে ফেলেন সৌলেহা। তার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। সৌলেহা লিখেছেন, ‘‘আমি করতারপুরে নিজের একটি ছবি দিয়েছিলাম। কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার উদ্দেশ্য আমার ছিল না। ওটা কোনও শুটিংয়েরও ছবি ছিল না। আমি শুধু করতারপুরে গিয়ে সেখানকার স্মৃতি সংগ্রহ করতে চেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম ওই স্থানের ইতিহাস সম্পর্কে বিশদে জানতে। তবু কেউ যদি আমার কাজে আঘাত পেয়ে থাকেন, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, শিখ সংস্কৃতিকে তিনি সম্মান করেন।
সিরসার টুইটের প্রেক্ষিতে আলাদা করে তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তানের পুলিশ। তারা আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধরিও বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন। তাঁরও বক্তব্য, ওই মডেল ও পোশাক সংস্থাটির শিখ সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।