গত বছর ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয়। ফাইল চিত্র।
উদ্বোধনের ১ বছরের মাথায় পদ্মা সেতুতে ছুটবে ট্রেন। আগামী জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশের ‘গর্বের সেতু’ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন সে দেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেতু বানিয়ে তাক লাগিয়েছে হাসিনা সরকার।
সেতুর উপর দিয়ে ছুটছে গাড়ি। আর ক’মাস বাদেই নীচ দিয়ে দৌড়বে ট্রেন। মঙ্গলবার সেতুতে রেলের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে যান রেলমন্ত্রী। তবে আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতুতে প্রথমে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পথে রেল চলাচল শুরু করা হবে।
রেললিঙ্ক প্রকল্পের কাজ ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও ভাঙ্গা থেকে যশোর— এই তিন ভাগে প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিমি রেললাইন তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের ঠিকাদার চিনের ‘চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি’। এ জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা।
বর্তমানে পদ্মা সেতুর ৬.১৫ কিমি অংশে রেলপথ তৈরির কাজ চলছে। আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে পুরো সেতুতে রেলের স্লিপার বসানো হবে।
গত মাসেই পদ্মা সেতু দিয়ে রেল পরিষেবা চালু করার জন্য প্রথম পর্যায়ে ট্রেনের ১৫টি ব্রডগেজ কোচ পৌঁছেছে বাংলাদেশে। এই প্রকল্পের জন্য চিন থেকে ১০০টি নতুন ব্রডগেজ কোচ আনা হবে। পদ্মা সেতুতে ঘণ্টায় ১২০ কিমি গতিতে ছুটবে ট্রেন। সেতুতে ট্রেন পরিষেবা চালু হলে ও পার বাংলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় হবে।