—ফাইল চিত্র।
লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দায়ী করে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল বিরোধীরা। আগামী তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পেলে মসনদ ছাড়তে হবে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকাকে।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ়) এবং পাকিস্তান পিপল্স পার্টির প্রায় ১০০ জন আইনপ্রণেতা আজ সই করে ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লি সেক্রেটারিয়েটের কাছে অনাস্থা প্রস্তাবটি পেশ করেছেন। পাক পার্লামেন্টের আইন অনুযায়ী, অন্তত ৬৮ জন আইনপ্রণেতা একজোট হয়ে যদি সরকারের বিরুদ্ধে কোনও অনাস্থা প্রস্তাব আনেন, তা হলে তা গ্রহণ করতে বাধ্য পার্লামেন্টের স্পিকার। এবং সেই অনাস্থা প্রস্তাব হাতে পাওয়ার তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে এই বিষয়ে ভোটাভুটি হবে পার্লামেন্টে। পাক পার্লামেন্টে সদস্য সংখ্যা ৩৪২ এবং প্রস্তাবের পক্ষে ১৭২টি ভোট পড়লেই ক্যাবিনেট ভেঙে ফেলে ইস্তফা দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। জোট সরকারের নেতা ইমরানের কোনও জোটসঙ্গী যদি বিরোধীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভোট দেয়, তা হলে প্রয়োজনীয় ১৭২টি ভোট পাওয়া পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (ইমরানের দল) পক্ষে অসুবিধাজনক হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পদত্যাগ করা ছাড়া কোনও পথ থাকবে না ইমরান খানের সামনে।
এতটা চাপে থাকলেও তাঁর গদি নিয়ে এখনও যথেষ্ট আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী। এবং তাঁর জোরের জায়গা অবশ্যই সেনাবাহিনী। আজ বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার পরে ইমরান স্পষ্ট বলে দেন, ‘‘সেনাবাহিনী আমাদের সঙ্গে আছে। তারা কখনওই চোরেদের সমর্থন করবে না।’’ বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর তোপ— ‘‘জনসমর্থন হারিয়ে এখন আপনারা সরকারকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে চাইছেন? আপনাদের এই অসাধু উদ্দেশ্য সফল হতে দেব না।’’ ৬৯ বছর বয়সি প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘‘২০২৮ পর্যন্ত আমরাই ক্ষমতায় থাকছি। আমার দিকে যত কাদা ছুড়তে হয় ছুড়ুন, আমার গায়ে কিছুই লাগবে না।’’ বিরোধীদের দাবি, এর মধ্যেই ইমরানের দলের ২৮ জন আইনপ্রণেতা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দেবেন বলে সম্মত হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘শুনলাম, আমার দলের লোকেদের ১৮ কোটি (পাকিস্তানি) টাকা দিয়ে ভাঙানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি তাঁদের বলেছি, অবশ্যই অর্থ নিন। নিয়ে আপনারা তা গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিন।’’