চিন্তা বাড়বে ভারতের মতো দেশের।
এক দিকে পড়তি দামে রাশ টানতে রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক এবং তাদের সহযোগীদের দিনে ২০ লক্ষ ব্যারেল অশোধিত তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত। অন্য দিকে রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলির সহমত হওয়া। সব মিলিয়ে বিশ্বের নজর আজ রইল আন্তর্জাতিক তেলের বাজারের দিকে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই দুই সিদ্ধান্তেই অশোধিত তেলের দর ফের মাথাচাড়া দিতে শুরু করলে চিন্তা বাড়বে ভারতের মতো দেশের। যাদের চাহিদার অধিকাংশই আমদানি করে মেটাতে হয়।
ইউক্রেনের উপরে হামলার প্রতিবাদে রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে পশ্চিমি দুনিয়া। তা সত্ত্বেও সম্প্রতি সে দেশের চারটি প্রদেশ নিজেদের বলে ঘোষণা করেছে পুতিন সরকার। এর পরেই সেখান থেকে আসা তেলের দাম নির্দিষ্ট সীমায় বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। সেই দাম কত হবে, তা পরে স্থির হবে। এর থেকে বেশি দামে সমুদ্র দিয়ে অন্য দেশে তেল বিক্রি করতে পারবে না রাশিয়া। এর আগে জি-৭ গোষ্ঠীও তেলের দাম বাঁধায় সায় দিয়েছিল। ডিসেম্বর থেকে যা চালুর কথা।
বিশেষজ্ঞেরা যদিও বলছেন, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ৮৪ ডলারের কাছে নামার পরে বুধবারই প্রায় আড়াই বছরে প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক ও রাশিয়া-সহ তার সহযোগী দেশগুলি। স্থির হয়েছে নভেম্বর থেকে দিনে ২০ লক্ষ ব্যারেল তেল কম উত্তোলন করবে তারা। যে খবরে ইতিমধ্যে ব্রেন্ট ক্রুড ছাড়িয়েছে ৯৩.৫০ ডলার। এই পরিস্থিতিতে দাম আরও বাড়লে আখেরে লাভ হবে রাশিয়ারই। আর তেলের চড়া হারে ধুঁকবে ভারতের মতো আমদানিকারীরা। যেখানে টাকার দামের পতনের জেরে তেলের কম দরের সুবিধা নেওয়া থেকে মার খাচ্ছে কেন্দ্র। চড়তে পারে জিনিসপত্রের দাম। যার জেরে আরও সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ।