স্কট মরিসন ফাইল চিত্র।
সামনের বছরের গোড়ার দিকে অস্ট্রেলিয়ায় নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগেই যথেষ্ট চাপে স্কট মরিসনের সরকার। এমনিতেই তাঁরা সুরক্ষিত নন বলে মাঝে মধ্যেই বিক্ষোভ সমাবেশে শামিল হয়েছেন দেশের মহিলা নাগরিকদের একাংশ। কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগও রয়েছে এ দেশে। তার উপরে আজই প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে কর্মরত কর্মীদের তিন জনের মধ্যে এক জনই যৌন হেনস্থার শিকার।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে অস্বস্তি বাড়ছে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের। বস্তুত, পার্লামেন্টের কর্মীদের উপরে যৌন হেনস্থার বিষয়টি নজরে এসেছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসে। তার পরই বিষয়টি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেন মরিসন। সেই সময়ে পার্লামেন্টের একটি অফিসের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটার কথাও জানা যায়। বিষয়টি জানার পরে খোদ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন তিনি সব কিছু জেনে বিস্মিত ও স্তম্ভিত।
আজ যে রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, পার্লামেন্টেরই তিন জন সদস্যের মধ্যে অন্তত এক জন হয় যৌন হেনস্থার শিকার অথবা তাঁদের উপরে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা চলেছে। মরিসন আজ বলেছেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা পার্লামেন্টের প্রতিটি সদস্য ও তাঁদের টিমের কাজের উপরে প্রভাব ফেলে। এর ফলে পার্লামেন্ট তথা গোটা দেশের কাজের ক্ষতি হয়।’’ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিরোধীরা চাইছেন, পার্লামেন্টের কর্মসংস্কৃতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে বক্তব্য রাখুন। মরিসনের কনজ়ারভেটিভ দলের জোট সরকারের উপরেও চাপ বাড়ছে।
আজকের রিপোর্টে পার্লামেন্টের কর্মসংস্কৃতি উন্নয়নে ২৮টি সুপারিশ করা হয়েছে। যার মধ্যে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সাম্য বজায় রাখা, মদ্যপানের নতুন নীতি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ গঠনের মতো বিষয় রয়েছে।