ইজ়রায়েলের বিমান হামলা গাজ়ায়। ছবি: রয়টার্স।
বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের ‘এয়ার চিফ’ আসেম আবু রাকাবা। শনিবার এমনই দাবি করল ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। তাদের দাবি, গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে হামলার মূল চক্রী ছিলেন রাকাবা। যুদ্ধের শুরু থেকে এই নিয়ে হামাসের মোট ছয় কমান্ডারকে খতম করল ইজ়রায়েল।
আইডিএফ সূত্রে খবর, আকাশপথে হামলার মূল দায়িত্বে ছিলেন রাকাবা। গত ৭ অক্টোবর ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো, প্যারাগ্লাইডিং করে ইজ়রায়েলে ঢুকে পড়া, কী ভাবে কোন পথে হামলা চালাতে হবে— সব পরিকল্পনা ছিল এই রাকাবার। তাঁর নির্দেশেই আইডিএফ চৌকিগুলিতে হামলা চালায় হামাস জঙ্গিরা।
শুক্রবার রাত থেকে গাজ়ায় বিমানহানা আরও জোরদার করেছে ইজ়রায়েল। একইসঙ্গে বিক্ষিপ্ত এবং সংক্ষিপ্ত ভাবে গাজ়ায় ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ও চালাচ্ছে তারা। দু’দিন আগেই ইজ়রায়েলের সাঁজোয়া বাহিনী এবং সেনা গাজ়া সীমান্ত দিয়ে ঢুকে হামাসের বেশ কিছু ডেরা ধ্বংস করে আবার ফিরে আসে। তবে এ বার হামাসের অন্যতম ‘শক্তি’ গোপন সুড়ঙ্গগুলিকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করার কাজ শুরু করল ইজ়রায়েল। তাদের দাবি শুক্রবার রাতে ১৫০টি গোপন সুড়ঙ্গ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
গাজ়ায় এখনও সম্পূর্ণ ভাবে ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ শুরু করেনি ইজ়রায়েল। তবে বিমানহানা জারি রেখেছে। হামাসের যে সুড়ঙ্গগুলিকে ইজ়রায়েল ধ্বংস করেছে, সেখান থেকেই নাকি হামলার পরিচালনা করছে হামাস, এমনটাই দাবি আইডিএফের। বেশ কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই সুড়ঙ্গগুলিই গাজ়ার একেবারে ভিতরে ঢুকে ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ চালানোর পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে। গোটা গাজ়ার নীচে এমন কয়েকশো সুড়ঙ্গ রয়েছে। যে সুড়ঙ্গের জালের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে গাজ়া।