Crime News

স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা, পাকিস্তানে তরুণীর পা কেটে নিলেন বাবা

পাকিস্তানের এক তরুণী স্বামীর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন। তাঁকে শাস্তি দিতে বাবা এবং কাকারা মিলে তাঁর পা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে নেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সংসার ভেঙে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন কন্যা। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন স্বামীর বিরুদ্ধে। কন্যার এই সিদ্ধান্ত একেবারেই পছন্দ হয়নি বাবার। পরিবারের সম্মানহানির শাস্তি দিতে গিয়ে কন্যার পা কেটে নিলেন তিনি। সঙ্গ দিলেন কাকারাও।

Advertisement

ঘটনাটি পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের। তরুণীর নাম সোবিয়া বাতুল শাহ। করাচিতে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। অভিযোগ, তাঁর স্বামী তাঁর উপর অত্যাচার করতেন। প্রতি দিনই তাঁদের মধ্যে অশান্তি হত। এমনকি, স্বামীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মারধরের অভিযোগও করেছেন তরুণী। তাঁর অভিযোগ, স্বামী সংসারের কোনও খরচ জোগাতেন না। সন্তানদের নিয়ে তাঁকেই পেট চালানোর বন্দোবস্ত করতে হত। স্বামীর অত্যাচারের কথা নিজের বাপের বাড়িতে আগেই জানিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।

পুলিশকে তরুণী জানিয়েছেন, তিনি যত বারই স্বামীর অত্যাচারের কথা তাঁর বাবা বা কাকাদের জানিয়েছেন, তত বারই তাঁরা মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগে কর্ণপাতও করা হয়নি পরিবারের তরফে। এর পর নিজেই সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তরুণী। থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এবং বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। এই খবর পেয়ে তরুণীর বাপের বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়।

Advertisement

অভিযোগ, বাবা এবং চার জন কাকা মিলে তরুণীর উপর অত্যাচার শুরু করেন। তাঁরা জানান, তাঁদের বংশে কেউ কখনও স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেননি। এতে তাঁদের পরিবারের সম্মানহানি ঘটেছে। কন্যাকে শিক্ষা দিতেই এর পর ধারালো কুঠার নিয়ে আসেন তরুণীর বাবা। তাঁর কাকারাও ওই কুঠার দিয়ে তরুণীর পায়ে একের পর এক কোপ মারেন বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর পা স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পুলিশের কাছে বাবা মুস্তাফা শাহ এবং কাকা কুরবান শাহ, এহশান শাহ, মুস্তাক শাহ এবং শাহ নওয়াজ়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণী।

অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কেবল মুস্তাককে গ্রেফতার করা গিয়েছে। বাকিরা পলাতক। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement