ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। ছবি: রয়টার্স।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সোমবারই শেখ হাসিনার সরকার কোটা সংস্কার নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। চলতে থাকা কার্ফু আংশিক শিথিল করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা সূত্রে খবর, বুধবার ঢাকা-সহ চার জেলায় সাত ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে কার্ফু। অল্প সময়ের জন্য হলেও খোলা হয়েছে অফিস-কাছারি। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলি চার ঘণ্টা খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খুলেছে পোশাক কারখানা। বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলিকেও সীমিত পরিসরে খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কয়েক দিনের সহিংস আন্দোলনের পর বুধবার কার্ফু আংশিক শিথিল হতেই রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচলও শুরু হয়েছে। ঢাকার রাজপথেও গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে বলে বিবিসি বাংলা সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হিংসার পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাত থেকে গোটা বাংলাদেশে কার্ফু জারি করা হয়েছিল। মাঝে অবশ্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তা শিথিল করা হয়েছিল। তবে রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ সরকার। সেই ছুটি আর নতুন করে বাড়ানো হয়নি। এরই মধ্যে বুধবার চার ঘণ্টার জন্য অফিস-কাছারি খুলল ঢাকা-সহ চার জেলায়। বন্ধ থাকা ইন্টারনেট পরিষেবাও পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হয়েছে মঙ্গলবার থেকে।
কার্ফু শিথিল থাকাকালীন অফিস, কারাখানা খুললেও পদ্মাপারের রাস্তায় এখনও টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, গত কয়েক দিনের হিংসায় বাংলাদেশে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৮০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।