Corona virus

শুরু থেকেই শক্তিশালী করোনাভাইরাস

গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি-র ‘সেন্টার ফর ভাইরাস রিসার্চ’ সম্প্রতি ভাইরাসটির অতিসংক্রামক চেহারার কারণ বিশ্লেষণ করে দেখেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২১ ০৬:১৬
Share:

এক, সওয়া এক বছরে ১২ কোটির উপরে সংক্রমণ। ২৬ লক্ষের বেশি মৃত্যু। নভেল করোনাভাইরাসের এই অতিসংক্রামক ক্ষমতার বিবর্তন ঘটেছিল আগেই। বাদুড়ের শরীরে। তার পর বাদুড়ের থেকে মানব শরীরে সংক্রমণ। ‘প্লস বায়োলজি’ নামে জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি-র ‘সেন্টার ফর ভাইরাস রিসার্চ’ সম্প্রতি ভাইরাসটির অতিসংক্রামক চেহারার কারণ বিশ্লেষণ করে দেখেছে। গবেষণায় তারা ভাইরাসটির কয়েকশো হাজার জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে দেখে। গ্লাসগোর বিজ্ঞানীদের দাবি, পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, অতিমারির প্রথম ১১ মাসে ভাইরাসের তেমন কোনও জেনেটিক বদল ঘটেনি। তবে পরে ডি৬১৪জি মিউটেশন ও অন্য আরও কিছু বদল ঘটেছে। গবেষক দলের প্রধান অস্কার ম্যাকলিয়ান বলেন, ‘‘তার মানে এই নয় যে মানব শরীরে কোনও বদল ঘটেনি। উল্লেখযোগ্য বদল তেমন ঘটেনি। অন্য ভাইরাসের ক্ষেত্রে লাখো মিউটেশন ঘটতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সেটা অমিল ছিল।’’ বিজ্ঞানীদের কথায়, ‘‘খুব চমকে যাওয়ার মতো বিষয়টা। শুরু থেকেই এত সংক্রামক!’’

আমেরিকার টেম্পল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী সের্গেই পন্ড বলেন, ‘‘সাধারণত দেখা যায়, যে সব ভাইরাস একটি প্রাণীর দেহ থেকে অন্য প্রাণীর দেহে বাসাবদল করে, সেখানে তাদের থিতু হতে সময় লাগে। তার পর তার সংক্রমণ ক্ষমতা তৈরি হয়।’’ কিন্তু এ ক্ষেত্রে নভেল করোনাভাইরাস বা সার্স-কোভ-২ শুরু থেকেই
ব্যাপক সংক্রামক।

Advertisement

গত কয়েক মাসে বরং একাধিক মিউটেশন ঘটিয়ে আরও শক্তি বাড়িয়েছে ভাইরাসটি। ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে নতুন স্ট্রেন তৈরি হয়েছে। এগুলির সংক্রমণ ক্ষমতা আরও বেশি। নতুন স্ট্রেনে বিপর্যস্ত ইউরোপ-আমেরিকা। টিকাকরণের পাশাপাশি ফের লকডাউনের কথা ভাবছে ইউরোপের একাধিক দেশ। বিশেষ করে ইটালি। ইস্টারের ছুটিতে তারা দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে। সেই সঙ্গে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে— সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৮০% বাসিন্দার টিকাকরণ।

ফ্রান্স সরকারও আজ জানিয়েছে, প্যারিসে নতুন করে লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ, নতুন করোনা স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আইসিইউয়ে শয্যা ফাঁকা নেই। পরিস্থিতি এমনই হয়েছে, বিশেষ মেডিক্যাল বিমানে করে রোগীদের অন্য এলাকার হাসপাতালে পাঠাতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, প্রতিষেধকের অভাব। ফ্রান্সের অভিযোগ, চুক্তি মতো যথেষ্ট পরিমাণ টিকা তারা পাচ্ছে না। ফ্রান্সের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জেরম সলোমন বলেন, ‘‘খুব জটিল, উদ্বেগজনক অবস্থা। প্যারিসের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। তাই প্রয়োজন হলে লকডাউন চালু করা হবে ফের।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement