ফাইল চিত্র।
সামনেই দু’জনের দেখা হওয়ার কথা। তার ঠিক আগে ওয়াশিংটন থেকে চিঠি এসে পৌঁছেছে পিয়ংইয়্যাংয়ে। ব্যক্তিগত ভাবে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাতে বেজায় খুশি চেয়ারম্যান কিম। পিয়ংইয়্যাংয়ের সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে সেই কথা।
হোয়াইট হাউসও ট্রাম্পের চিঠির কথা স্বীকার করেছে। প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্স একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেন, ‘‘কিমের চিঠির জবাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।’’ আসলে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে বৈঠক করতে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার মধ্যস্থতাকারী কিম ইয়ং চোল। ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে অন্তত ৯০ মিনিট কথা হয়েছে তাঁর। চোলের হাত দিয়ে প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে চিঠি পাঠিয়েছিলেন কিম। ওই বৈঠকের পরেই ট্রাম্প ঘোষণা করেন, উত্তর কোরিয়ার চেয়ারম্যান কিম জং উনের সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় বার বৈঠকে বসবেন তিনি। চোলের হাত দিয়ে কিমের জন্য চিঠিও পাঠান ট্রাম্প। পিয়ংইয়্যাংয়ের সরকারি মিডিয়া জানিয়েছে, ‘চিঠিটি যথেষ্ট সদর্থক ভাবেই দেখছেন চেয়ারম্যান।’’
গত বছর জুন মাসে দু’জনের প্রথম বৈঠক হয়। সিঙ্গাপুরের ওই বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনা সফল হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকে কথা আর এগোয়নি। বরং ওয়াশিংটনের দিক থেকে বারবারই সন্দেহ প্রকাশ করা হয়, গোপনে পরমাণু অস্ত্র গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন কিম। কূটনীতিকদের একাংশ দাবি করেন, ট্রাম্প-কিম প্রথম বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষে দুই রাষ্ট্রনেতার দ্বিতীয় সাক্ষাৎটি ঠিক কোন দিন, কোথায় হবে, তা খোলসা করে জানানো হয়নি। কিম বলেছেন, ‘‘ভরসা আছে। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছি আসন্ন বৈঠকের জন্য।’’