Nadia

গায়েহলুদের পর পাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! নদিয়ায় ‘নাবালিকা’কে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা?

স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতার মা মারা যান বেশ কিছু দিন আগে। তার পর বাবা দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছেন। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, সৎমা ওই নাবালিকার উপর অত্যাচার করতেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

পলাশিপাড়া  শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১১:০৯
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বিয়ের সমস্ত প্রস্তুতি শেষ। তার আগের রাতেই পাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পরিবার। শুক্রবার থেকে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার রাধানগর এলাকায়। স্থানীয় একটি সূত্রের খবর, মৃতার বিয়ের বয়স হয়নি। মাত্র ১৭ বছর বয়সি মেয়েটিকে পাত্রস্থ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল পরিবার। তবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, না কি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। এ নিয়ে মৃতার পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতার মা মারা যান বেশ কিছু দিন আগে। তার পর বাবা দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছেন। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, সৎমা ওই নাবালিকার উপর অত্যাচার শুরু করতেন। অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় পরিবার। বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ হয়েছিল। শুক্রবার ছিল বিয়ে। কিন্তু রাতেই রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় পাত্রীর। স্থানীয় বাসিন্দারা এ-ও বলছেন, নাবালিকার মৃত্যুর খবর চেপে গিয়ে পরিবারের লোকজন দেহ কবর দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ওই খবর জানা মাত্র তাঁরা দেহ আটকে থানায় খবর দেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘মেয়েটির সঙ্গে ওর বাড়ির লোকজন ভাল ব্যবহার করত না। তাই এটা আত্মহত্যা না অন্য কিছু, তা পুলিশের দেখা প্রয়োজন। সেই কারণে দেহ আটকে থানায় খবর দিয়েছিলাম আমরা। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই আমরা।’’

স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যার বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘সবার অজান্তে এক নাবালিকার দেহ কবর দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’’ তবে ওই ঘটনায় আটক বা গ্রেফতারির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ওই ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান মতিয়ার রহমান শেখ বলেন, ‘‘নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করার জন্য লাগাতার প্রচার করি আমরা। তার পরেও নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওই নাবালিকার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে আমি পলাশিপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে যাই। গ্রামের বাসিন্দাদের মতো আমিও নাবালিকার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। আমাদের আস্থা আছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement