—প্রতীকী ছবি।
আমেরিকার উত্তর প্রান্তের ছোট্ট প্রদেশ নর্থ ডাকোটা। ব্যালট বক্সে চিরকাল কট্টরপন্থী, রিপাবলিকান দলের সমর্থক জনবিরল এই প্রদেশে সম্প্রতি একটি বিল পাশ হয়েছে যা আইনে পরিণত হলে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে জাতীয় রাজনীতিতে। ওই প্রদেশের ৬১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনে প্রাদেশিক কংগ্রেসের এই বিলে বলা হয়েছে যে, নর্থ ডাকোটা থেকে নির্বাচিত কোনও কংগ্রেস সদস্যের বয়স, তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার সময়ে, ৮১ পার হতে পারবে না। কংগ্রেস সদস্যদের মেয়াদ থাকে ৬ বছর। ফলে এই আইন অনুযায়ী, ৭৫ বছরের বেশি বয়স হলে কেউ এ প্রদেশের কংগ্রেস সদস্য হতে পারবেন না।
আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী, সেনেটের সদস্যদের ন্যূনতম বয়স ৩০ ও হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের সদস্যদের ন্যূনতম বয়স ২৫ হতে হবে। কিন্তু তাঁদের অবসরগ্রহণের কোনও নির্ধারিত বয়স নেই। সেই কারণে বিরোধী নেতা মিচ ম্যাকনেল, হাউসের প্রাক্তন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির মতো নেতা-নেত্রীদের বয়স ৮০ পেরিয়ে গেলেও এখনও কাজ করে যাচ্ছেন।
এ বছর নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটি বিষয় আমেরিকার ভোটারদের খুবই ভাবাচ্ছে। প্রধান দু’টি দল, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের সম্ভাব্য প্রার্থী যাঁরা হতে চলেছেন, তাঁরা দু’জনেই অতি প্রবীণ। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স ৮১। নির্বাচিত হলে, চার বছরের মেয়াদ-শেষে তা হবে ৮৫। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আজই ৭৮ পূর্ণ করলেন। নির্বাচিত হলে মেয়াদ-শেষে হবেন ৮২। এই দু’জনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট যিনিই হবেন,মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্টের তকমা পাবেন। দু’জনের মধ্যে মাঝেমধ্যেই বয়সজনিত শ্লথতা লক্ষ্য করা যায়। ১৯৯৫ সালে পাশ হওয়া আমেরিকান কংগ্রেসের বিল অনুযায়ী, কংগ্রেসের সদস্যদের বয়সের বিষয়ে সিদ্ধান্তর আইনি এক্তিয়ার প্রদেশগুলির নেই। ফলে নর্থ ডাকোটায় এই বিলটি পাশ হলেও আমেরিকান কংগ্রেসে এটিকে গ্রাহ্য না করার সম্ভাবনাই প্রবল।