কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। হাতে মাত্র আর দু’দিন। তার পরেই বর্ষ-বদল। কিন্তু, বর্ষবরণের সেই শুভ ক্ষণে খোলা জায়গায় সমস্ত অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বাংলাদেশ সরকার। সে দেশের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকুল নয় বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকার পুলিশ কমিশনারের এই নির্দেশে সিলমোহর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তবে, বাড়ির ভেতরে অনুষ্ঠান করতে কোনও অসুবিধা নেই।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর রাতে আন্তর্জাতিক পর্যটন বর্ষ পালিত হবে কক্সবাজারে। ওই দিন সমুদ্র সৈকতে আতশবাজি পোড়ানো-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান রয়েছে। সোমবার ঢাকায় মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে সে কথা জানান অসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তখন হাসিনা জানান, ওই দিন সন্ধ্যার পর কোনও অনুষ্ঠান করা ঠিক হবে না। পরে পর্যটনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, কক্সবাজার সৈকতে ৩১-এর রাতে আতশবাজির অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। তবে অন্যান্য কর্মসূচি বহাল থাকবে।
এর আগে ঢাকার পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান ৩১ তারিখ রাতে সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে ‘ইনডোর পার্টি’ করায় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তাঁর কথায়, ‘‘ওই দিন সন্ধ্যার পর শহরের খোলা জায়গায় কোনও উৎসব উদ্যাপন এবং সমবেত হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।’’ সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ঢাকার সকল পানশালাও বন্ধ থাকবে। সোমবার থেকেই শহরে শুরু হচ্ছে বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান। রাত ৮টার পর বেশ কিছু জায়গায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
এক ইতালীয় এবং এক জাপানি নাগরিককে খুন করা ছাড়াও গত চার মাসে ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপর প্রায় ১৯টি হামলা হয়েছে।