হ্যাঁ, চাকরিপ্রার্থী চাওয়া হয়েছিল ঠিকই। ‘নাসা’র তরফে পৃথিবীর ‘পাহারাদার’-এর খোঁজও শুরু হয়েছিল মহা সমারোহে। এমন লোভনীয় চাকরি পেতে যে লম্বা লাইন পড়বে, তাও প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু এমন চমক যে অপেক্ষায় রয়েছে, তা বোধহয় ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি নাসা।
চাকরির আবেদনপত্রগুলো খুলতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ! নড়বড়ে বাঁকাচোরা হাতের লেখায় এক পাতার একটি চিঠি। পড়তে গিয়ে দেখা গেল চিঠিটি লিখেছে জ্যাক ডেভিস নামে ন’বছরের এক বালক। সে না কি ‘প্ল্যানেটারি প্রোটেকশন অফিসার’ পোস্টের দাবিদার!
অতীতের ঘটনাটা সবারই কমবেশি জানা। দিন দুই আগে এই পোস্টের জন্যই কর্মী খুঁজে পেতে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ‘নাসা’। সংস্থার পক্ষ থেকে এমন এক জনকে চাওয়া হয়েছিল, যিনি ভিনগ্রহীদের ‘হাওয়া-বাতাস’ থেকে রক্ষা করতে পারবেন আমাদের এই নীলাভ গ্রহটিকে। মাইনে বছরে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা! সেই পদের জন্যই এ বার আবেদন করল জ্যাক।
আরও পড়ুন: ভিনগ্রহী হানা ঠেকাতে ‘দারোয়ান’ খুঁজছে নাসা, মাইনে সওয়া কোটি!
ডান দিকে জ্যাকের লেখা সেই চিঠি, ডান দিকে নাসা-র উত্তর। ছবি: নাসা-র সৌজন্যে
‘ডিয়ার নাসা...’ লিখে চিঠিটা শুরু করেছে জ্যাক। তারপর নিজেই জানিয়েছে সে ‘প্ল্যানেটারি প্রোটেকশন অফিসার’-এর পদে কাজ করতে চায়। কিন্তু হঠাৎ কেন জ্যাকের এমন চাকরি করার কথা মাথায় এল? সে রহস্যেরও সমাধান হয়েছে চিঠির মধ্যেই।
আরও পড়ুন: এই প্রথম পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডলের খোঁজ মিলল ভিন গ্রহে
জ্যাকের বোন নাকি তাকে আদর করে এলিয়েন বা ভিনগ্রহী বলে ডাকে। নাসাকে সে জানিয়েছে, ‘মেন ইন ব্ল্যাক’এর মতো একাধিক এলিয়েন ফিল্ম সে দেখেছে। জানে আয়রনম্যান-হাল্কদের তৈরি ‘শিল্ডস’ কী ভাবে ভিনগ্রহীদের থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। এমনকী তার বয়স কম হওয়ায় এলিয়েনের মতো ভাবতে তার সুবিধাই হবে। চিঠির শেষে নিজেকে ‘গার্ডিয়ান অব দ্য গ্যালাক্সি’ বলে উল্লেখও করেছে জ্যাক।
আরও পড়ুন: নাসায় প্রশিক্ষণ নিলেন সুশান্ত!
জ্যাক ডেভিসের চিঠির উত্তরও দিয়েছে ‘নাসা’। তার পদক্ষেপকে ‘দুর্দান্ত’ বলে আখ্যা দিয়েছে তারা। জ্যাককে লেখা ওই চিঠিতে ‘নাসা’-র তরফে জানানো হয়েছে, ভাল করে পড়াশোনা করে জ্যাক পরবর্তীতে ‘নাসা’য় যোগদান করলে তারা খুশিই হবে।