বিশ্বভ্রমণ তো দূর, কিছু দিন আগে সাধারণ ভ্রমণের কথা কেউ ভাবতেও পারতেন না। অতিমারিতে আক্রান্ত এ বিশ্ব ঘুরে দেখার অনুমতিই ছিল না। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এ বার সেই সুযোগ নিয়ে এল একটি সংস্থা।
এটি একটি প্রমোদতরী সংস্থা। রয়্যাল ক্যারিবিয়ান প্রমোদতরী লাইন’ সেরেনেড। এই প্রমোদতরীই এ বার অতিমারির সময়ে ঘুরে না বেড়ানোর ঘাটতি পূরণ করতে চলেছে। দীর্ঘ ন’মাস ধরে বিশ্ব ঘুরে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে তারা।
দিন ক্ষণ এখনও চূড়ান্ত না হলেও সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৩-এর ডিসেম্বরে মিয়ামি থেকে যাত্রা শুরু করবে ওই প্রমোদতরী।
২৭৪ দিন ধরে বিভিন্ন দেশ ঘুরে ২০২৪-এর সেপ্টেম্বরে ফ্লোরিডায় ফিরে আসবে। ফ্লোরিডাই হবে শেষ গন্তব্য।
এক বিবৃতিতে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট মাইকেল বেইলে একে ‘দ্য আল্টিমেট ওয়ার্ল্ড ক্রুজ’ বলে অভিহিত করেছেন। এই যাত্রাকে ভ্রমণ পিপাসুদের হারিয়ে যাওয়া সময়ের ক্ষতিপূরণ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
২০০৩ সাল থেকে সমুদ্রপথে পর্যটকদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে আসছে সেরেনেড। প্রমোদতরীটি লম্বায় ৯৬৫ ফুট। এতে ১৩টি ডেক রয়েছে। অন্তত আড়াই হাজার যাত্রী ধারণ করতে সক্ষম এই প্রমোদতরী।
মিয়ামি থেকে রওনা দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী বিভিন্ন গন্তব্যে দাঁড়াবে প্রমোদতরীটি। উল্লেখযোগ্য কিছু গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে আর্জেন্তিনার ইগুয়াজু জলপ্রপাত, ব্রাজিলের রিও দি জেনেইরো। এ ছাড়া মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকারও নানা জায়গায় নোঙর করবে এই প্রমোদতরী।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে সে সব দেশের কিছু দর্শনীয় পর্যটনস্থল দেখাবে তারা। সেই তালিকায় রয়েছে তাজমহল, চিনের প্রাচীর এবং গিজার পিরামিড।
পর্যটকরা নিজের ইচ্ছেমতো টিকিট কাটতে পারবেন। কারও ইচ্ছা হলে ন’মাস ভ্রমণেরই টিকিট কাটতে পারেন। কেউ চাইলে শুধুমাত্র পছন্দের গন্তব্যগুলির জন্যই টাকা খরচ করবেন।
পুরো ন’মাসের জন্য কেউ যদি টিকিট কাটেন, তা হলে তাঁর খরচ হবে ৬৬ হাজার থেকে এক লক্ষ ১২ হাজার ডলারের মতো। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫০ লক্ষ থেকে ৮৪ লক্ষ টাকা।
প্রমোদতরী রওনা দিতে এখনও দু’বছর দেরি রয়েছে। কিন্তু ইচ্ছা থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকিট কেটে ফেলতে বলছে সংস্থা।