কিম জং উন। —ফাইল চিত্র
তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, মারণ ভাইরাস তাঁর দেশে ঢুকলে ‘পরিণতি’ ভাল হবে না। ‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ় এজেন্সি’তে প্রকাশিত হয়েছিল সেই খবর। উত্তর কোরিয়ায় শাসক কিম জং উনের এমন হুঙ্কারে প্রমাদ গুনেছিলেন অনেকে। এর পরই আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি খবর— কিমের নির্দেশে এক করোনাভাইরাস রোগীকে গুলি করে হত্যা করেছে তাঁর প্রশাসন।
খবরটি করেছে সিঙ্গাপুরের একটি সংবাদ সংস্থা। শিরোনাম এ রকম: উত্তর কোরিয়ার প্রথম নোভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ আক্রান্তকে গুলি করে হত্যা। সিঙ্গাপুরের সংস্থাটি তাদের রিপোর্টে একটি টুইটার অ্যাকাউন্টের কথা উল্লেখ করে জানিয়েছে, তারা ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্যটি পেয়েছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টের সত্যাসত্য সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। টুইটার অ্যাকাউন্টটি হল ‘@সিক্রেট_বেজিং’। অ্যাকাউন্টের মালিক নিজের পরিচয়ে জানিয়েছেন, তিনি চিন ও তার পরিধির বাইরে এক জন সামাজিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষক। তিনি অবশ্য তাঁর খবরের সূত্র কী, তা বিশ্লেষণ করেননি। কিন্তু গোপনীয়তায় মোড়া উত্তর কোরিয়া নিয়ে মানুষের কৌতূহল প্রবল। ফলে ‘সিক্রেট_বেজিং’-এর টুইট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সিঙ্গাপুরের ওই সংস্থাটি ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার একটি মিডিয়া রিপোর্টে করোনা-রোগীকে হত্যার দাবি করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র থেকে তারা জানতে পেরেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ সন্দেহে এক ব্যবসায়ীকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নিয়ম মানেননি। তখন ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করে মারা হয়।
উত্তর কোরিয়া নিয়ে বহু সময়ে এ ধরনের বহু খবর ভেসে উঠেছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। কিমের নির্দেশে তাঁর আত্মীয়কে হত্যা, তার পরে কুকুরকে খাইয়ে দেওয়া, কিমের চিজ়-প্রীতি, গল্ফে তাঁর দক্ষতা... এমন আরও কত কী। খবর যতই নৃশংস হোক না কেন, কোনও দিন সে সবে গুরুত্ব দেয়নি পিয়ংইয়ং। বহু সময় সে খবর ভুল প্রমাণিত হয়েছে পরে। এ বারেও নিরুত্তর উত্তর কোরিয়া। খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেনি তারা, আবার অস্বীকারও করেনি।