শাংহাই থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে ওই আক্রান্তের হদিস মিলেছে । ফাইল চিত্র।
চিনে কোভিড সংক্রমণ ফের মাথা চাড়া দেওয়ার পর থেকেই দিন যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে ১৩ হাজারের বেশি বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। এর মাঝেই সেখানে চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রনের এক নয়া ভেরিয়েন্ট। এতে ইতিমধ্যেই এক জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে সম্প্রতি জানানো হয়েছে চিনের জাতীয় মিডিয়ার প্রকাশিত এক রিপোর্টে।
শাংহাই থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে ওই আক্রান্তের হদিস মিলেছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। আক্রান্তের মৃদু উপসর্গ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তাদের প্রকাশিত তথ্য তুলে ধরে অন্য এক সংবাদপত্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, ওমিক্রনের বিএ.১.১ প্রজাতি থেকে এই নয়া সাব-টাইপের উৎপত্তি বলেই প্রাথমিক অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এখনও পর্যন্ত যে ভেরিয়েন্টগুলির তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে রয়েছে তার থেকে এই নয়া ভেরিয়েন্টের লক্ষণ সম্পূর্ণ আলাদা বলে জানানো হয়েছে। অন্য দিকে, শুক্রবারই উত্তর চিনের দালিয়ান শহরে আরও এমন এক নয়া ভেরিয়েন্টের হদিস মেলার খবর চিনের প্রশাসনের তরফে প্রকাশ করা হয় যার সঙ্গে পরিচিত ভেরিয়েন্টের মিল পাওয়া যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় চিনে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে কমপক্ষে ১২ হাজার জনেরই কোনও উপসর্গ নেই।
এই পরিস্থিতিতে সব রকমের ঝুঁকি এড়িয়ে চলার দিকেই ঝুঁকেছে প্রশাসন। শাংহাই শহরের প্রত্যেক বাসিন্দার করোনা পরীক্ষা করতে এ দিন বিপুল সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে লাগানো হয়। নামানো হয় সেনাও! চিনে জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপের নজির এর আগে মেলেনি। সোমবার ভোর বেলা থেকেই বিভিন্ন আবাসনে পৌঁছে যান সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকেরা।
শাংহাইয়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি জিয়াংশু, জ়েজিয়াং এবং বেজিং থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হয়েছে শহরে। কোভিড পরীক্ষণের জন্য কমপক্ষে দশ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে কাজে লাগিয়েছে প্রশাসন। বছর দুয়েক আগে উহানে কোভিড সংক্রমণ ছড়ানোর পর থেকে এত বড় পদক্ষেপ চিন নেয়নি বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা।