—ফাইল চিত্র।
লাদাখে ভারত ও চিনের টানাপড়েন মেটার কোনও লক্ষণ নেই। তার মধ্যেই চিনা সেনার ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের দায়িত্ব নিয়েছেন জেনারেল ঝ্যাং শুডং। ওই কমান্ডের অধীনেই রয়েছে লাদাখ। এই পরিবর্তনের কোনও প্রভাব লাদাখ পরিস্থিতিতে পড়বে কি না তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে নানা শিবিরে।
জেনারেল ঝ্যাং আগে ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডে কাজ করেননি। ২০১৭-১৮ সালে তিনি রুশ-চিন সীমান্তে চিনা সেনার দায়িত্বে ছিলেন। সাঁজোয়া যুদ্ধে বিশেষজ্ঞ এই জেনারেল এক সময়ে ছিলেন চিনা সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডেরও ডেপুটি কমান্ডার। ওই কমান্ডের হাতে রয়েছে খাস রাজধানী বেজিংয়ের নিরাপত্তা। ২০১৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চিন প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিশাল সমারোহের আয়োজন করে বেজিং। তারও ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
ভারতীয় সেনার প্রাক্তন মেজর জেনারেল জি জি দ্বিবেদী এক সময়ে নিয়ন্ত্রণরেখা ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। চিনে ভারতের সামরিক অ্যাটাশের পদেও ছিলেন তিনি। তাঁর মতে, লাদাখে শীতে কোনও সামরিক অভিযান হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ পাবেন জেনারেল ঝ্যাং। সে জন্যই তাঁকে এই সময়ে তাঁকে ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে লাদাখের পরিস্থিতিতে এখনই কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।
গত কাল পূর্ব লাদাখে সীমান্ত ঘুরে দেখেন ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নরবনে। সেনা জানিয়েছে, চুশুল সাব-সেক্টরে রেচিন লা-র মতো কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন সেনাদের সঙ্গে দেখা করেন সেনাপ্রধান। ফরোয়ার্ড এলাকার ঘাঁটি টারাতেও যান তিনি। তাঁকে লাদাখের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিশদে জানান সেখানে মোতায়েন সেনাকর্তারা।