অবতরণের ১০ সেকেন্ড আগে আচমকাই সেতী গণ্ডকী নদীর তীরে একটি জঙ্গলের মধ্যে ভেঙে পড়ে বিমানটি। ফাইল ছবি।
নেপালে দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হল প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর। শের বাথ ঠাকুর নামে বিমানবন্দরের এক আধিকারিক জানান, সোমবার সকালে ব্ল্যাক বক্সটি পাওয়া গিয়েছে।
রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ কাঠমান্ডু থেকে পোখরাগামী বিমানটি অবতরণের ১০ সেকেন্ড আগে আচমকাই সেতী গণ্ডকী নদীর তীরে একটি জঙ্গলের মধ্যে ভেঙে পড়ে। ওই ঘটনায় সকল যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপাল সেনা। তাঁদের মধ্যে পাঁচ ভারতীয়ও রয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, খারাপ আবহাওয়ার কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও পরে নেপালের বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জানায়, আকাশ পরিষ্কারই ছিল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর দাবি, সপ্তাহ দুয়েক আগে উদ্বোধন হওয়া চিন-নির্মিত ওই রানওয়ে পূর্ব-পশ্চিম বরাবর। প্রাথমিক ভাবে পাইলটকে পূর্ব দিকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে পাইলট নিজে পশ্চিম দিকে নামার অনুমতি চান। সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, নামার সময় বিমানটি বড় বাঁক নিয়ে ছিল। হতে পারে, সেই সময়েই পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারান! এই দাবি সংক্রান্ত একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে আসে (আনন্দবাজার অনলাইন সেটির সত্যতা যাচাই করেনি)। তাতে দেখা গিয়েছে, মাঝ আকাশে অনেকটা বেঁকে গিয়েছিল বিমানটি। বিপজ্জনক ভাবে অনেক নীচ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল সেটি। তার পরেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
নেপালের বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সেই সময়ে জানিয়েছিল, ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হলে দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে। সেটি উদ্ধার হওয়ায় দুর্ঘটনার নেপথ্য কারণ শীঘ্র জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।