তালিবান বিরোধী জোটের যোদ্ধারা। ছবি: সংগৃহীত।
দাবি এবং পাল্টা দাবি। কাবুলের উত্তরে তালিবান বনাম উত্তরের জোট (নর্দার্ন অ্যালায়েন্স)-এর লড়াই ঘিরে সামনে আসছে নানা পরস্পর বিরোধী খবর। তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ সোমবার আফগান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা পঞ্জশির ঘিরে ফেলেছি।’’
অন্য দিকে, তালিবান বিরোধী জোটের সামরিক নেতা আহমেদ মাসুদের শিবির সোমবার দাবি করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জশিরমুখী তালিবান বাহিনীহর উপর ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে মোট ৩০০ জঙ্গি খতম করেছে তারা। আন্দারব এলাকায় তালিবান কনভয়ে বিরোধী জোট বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে।
পঞ্জশির প্রদেশের পাশাপাশি, পারওয়ান, বাঘলান এবং উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের কপিসা প্রদেশ থেকেও সংঘর্ষের খবর এসেছে সোমবার। তালিবান বিরোধী জোটের দাবি, পখতিয়া এবং কুন্দুজ প্রদেশে পার্বত্য এলাকায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির সেনাবাহিনীর সদস্যদের একাংশ তালিবান বিরোধী লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, রাজধানী কাবুলের পাশাপাশি কুন্দুজ এবং বলখ প্রদেশের মাজার-ই-শরিফ এলাকা থেকে তালিবান বাহিনী পঞ্চশির অভিযান শুরু করেছে।
আফগানিস্তানে একের পর এক প্রদেশ এক প্রকার বিনা যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করলেও সে পথে হাঁটেনি হিন্দুকুশ পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত পঞ্জশির উপত্যকা। ১৫ অগস্টের পরও তাই তালিবানের দখলের বাইরে ছিল এই এলাকার বেশ কয়েকটি প্রদেশ। আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত বিরোধী জোট। গনি জমানার ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহও রয়েছেন তাঁর সঙ্গে। রয়েছেন, জৌঝান প্রদেশের ‘যুদ্ধপতি’ (ওয়ার লর্ড) উজবেক সেনা আধিকারিক রশিদ দোস্তম।
প্রসঙ্গত, আহমেদের বাবা আহমেদ শাহ মাসুদ দু’দশক আগে তালিবান বিরোধী ‘উত্তরের জোট’ (নর্দার্ন অ্যালায়্যান্স)-এর নেতা ছিলেন। ২০০১-এ সাংবাদিকের ছদ্মবেশে আল কায়দার মানববোমা হামলায় তিনি নিহত হন। আহমেদের বাহিনী এ বারও উত্তর-মধ্য আফগানিস্তানে তালিবানকে শক্ত প্রতিরোধের মুখে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।