প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।
বিয়ের মণ্ডপ থেকে পাকিস্তানের এক হিন্দু কিশোরীকে অপহরণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল গত কাল। পাক হাই কমিশনের আধিকারিককে ডেকে আজ সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানাল নয়াদিল্লি। দিল্লিতে আজ এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। দেশে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের ঘটনাটি শনিবারের। অভিযোগ, সিন্ধু প্রদেশের ওই তরুণীকে বিয়ের আসর থেকে তুলে নিয়ে যায় এক দল দুষ্কৃতী। পুলিশে যোগাযোগ করা হলে করাচি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। তত ক্ষণে কিশোরীর ধর্মান্তরণ করা হয়ে গিয়েছে। এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে মেয়েটির বিয়েও দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মেয়েটিকে আদালতে হাজির করানো হলেও দুষ্কৃতীরা ধরা পড়েছে কি না, স্পষ্ট নয়। গত দু’সপ্তাহে এ নিয়ে পাকিস্তানে মোট তিন জন সংখ্যালঘু মহিলার উপরে আক্রমণ হল। আজ পাক হাইকমিশনের শীর্ষ আধিকারিককে ডেকে সেই ঘটনাগুলিরই কড়া নিন্দা করা হয়েছে। পাকিস্তানের বিরোধী দল পিএমএনএলের তরফেও সংখ্যালঘুদের উপরে হওয়া অত্যাচার নিয়ে ক্ষোভ জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার নিয়ে মোদীর দাবি, পাক সেনার একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে সাফাই কর্মীর কাজের জন্য শুধুমাত্র অ-মুসলিম প্রার্থী খোঁজা হচ্ছিল। পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুদের তিনি ‘ভারতের লোক’ বলে সম্বোধন করেছেন আজ। তাঁর প্রশ্ন, পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হওয়া অত্যাচার নিয়ে দেশের বিরোধীরা সরব হন না কেন।
মোদীর উল্লেখ করা বিজ্ঞাপনটি খুব সাম্প্রতিক নয়। ২০১৮ সালের। তবে সেই সময়েও বিষয়টি নিয়ে পাক সেনার সমালোচনা হয় বিস্তর।