Myanmar

Myanmar Army: জঙ্গি ঘাঁটি থেকে সরল মায়ানমার সেনা

২০১৯ সালে মায়ানমার সেনার সঙ্গে খাপলাংদের সংঘর্ষবিরতি তথা স্বশাসনের চুক্তি নবীকরণ না হওয়ার পরে মায়ানমার সেনা টাগায় সামরিক অভিযান চালায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২২ ০৬:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

তিন বছর পরে মায়ানমারে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে যাওয়া জঙ্গিদের প্রধান ঘাঁটি দখলমুক্ত করে চলে গেল মায়ানমার সেনা। মায়ানমারের সাগাইং ডিভিশনের টাগা ছিল আলফা, এনডিএফবি. এনএসসিএন কে, কেএলও-সহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদর দফতর। খাপলাঙের মৃত্যুর পরে খাপলাং গোষ্ঠী কয়েক টুকরো হয়ে যায়।

Advertisement

২০১৯ সালে মায়ানমার সেনার সঙ্গে খাপলাংদের সংঘর্ষবিরতি তথা স্বশাসনের চুক্তি নবীকরণ না হওয়ার পরে মায়ানমার সেনা টাগায় সামরিক অভিযান চালায়। পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন সানরাইজ়’। ভারতীয় সেনার তদানীন্তন ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহানের নেতৃত্বে ভারত ও মায়ানমার সেনা বোঝাপড়ার মাধ্যমে মায়ানমারে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে যাওয়া জঙ্গিদের শিবিরে হানা দেয়। অরুণাচল সীমান্তের ও-পারে ভারতীয় জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ও মিজোরাম ঘেঁষা মায়ানমারের আরাকান, নীলগিরি, হওক্যাত এলাকাগুলিতে বর্মি জঙ্গিদের ঘাঁটিতে একসঙ্গে চলেছিল আক্রমণ। এর আগে মায়ানমার সেনা ভারতীয় জঙ্গি উৎখাত করলেও পরে সেখান থেকে চলে যেত। ফের ফিরে আসত জঙ্গিরা। এ বার কিন্তু ভারতের অনুরোধে ঘাঁটি দখলের পরে সেখানে সেনা ছাউনি বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

কার্যত ২০২০ সাল থেকে ভারতীয় জঙ্গিরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে হন্যে। কিন্তু বর্তমানে মায়ানমারে চলতে থাকা সেনা-জনতা সংঘর্ষ ও মায়ানমার সেনার হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে যাওয়া জঙ্গিদের লড়তে নামার পরে মায়ানমার সেনা টাগা ছেড়ে চলে যেতে থাকে। সেনা সূত্রে খবর, তাতামাদাও বা মায়ানমারের সেনা-বিরোধী পিডিএফ টাগা এলাকায় অতি সক্রিয় হয়ে ওঠার ফলেই ঘাঁটি দখলে রাখা সেনার দল সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। টাগায় জঙ্গিদের ঘাঁটি এখন জঙ্গলে ঢাকা। তবে ফের তারা সেখানে ঘাঁটি গাড়লে সমস্যা হতে পারে বলে মত আসাম রাইফেলসের এক কর্তার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement