কেন মৃত্যুর মুখে নিজেকে ঠেলে দিতে চাইছিলেন? এ প্রশ্ন শুনে ম্যাথুর পাল্টা উত্তর, ‘আসলে আমি বাঘের কোনও ক্ষতি করতাম না। নিজেরও কোনও ক্ষতি হয়, এমন কাজও করতাম না।’
ম্যাথু আব্রাহাম।
বাঘ নিয়ে তাঁর তীব্র কৌতূহল ছিল। কিন্তু সেই কৌতূহলবশে বাঘের খাঁচায় ঢোকার চেষ্টা করবেন তা ঘুণাক্ষরেও কেউ আঁচ করতে পারেননি।
চিড়িয়াখানায় বাঘ দেখতে গিয়েছিলেন ম্যাথু আব্রাহাম। কিন্তু বাঘ কী, মানুষ দেখলে তার কী প্রতিক্রিয়া হয়, তা জানার চেষ্টায় সকলের অলক্ষে ঘেরা জায়গা টপকে খাঁচার ভিতর ঢোকার চেষ্টা করতেই নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে আসেন। তার পর তাঁকে টেনে নামান পাঁচিল থেকে। ঘটনাটি আমেরিকার বস্টনের।
খাঁচার মধ্যে তখন গর্জন করে ঘোরাফেরা করছিল আনালা নামের একটি বাঘ। কেন মৃত্যুর মুখে নিজেকে ঠেলে দিতে চাইছিলেন? এ প্রশ্ন শুনে ম্যাথুর পাল্টা উত্তর, ‘আসলে আমি বাঘের কোনও ক্ষতি করতাম না। নিজেরও কোনও ক্ষতি হয়, এমন কাজও করতাম না। আমার উদ্দেশ্য ছিল, বাঘ আসলে কী, তা সরেজমিনে দেখা। মানুষ কাছে গেলে বাঘের কী প্রতিক্রিয়া হয়, এটাও দেখার ইচ্ছা ছিল।”
এখানেই থামেনি ম্যাথু। তিনি আরও বলেন, “শুনেছি, বাঘের চোখে নাকি এক অদ্ভুত শক্তি আছে। কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। বাঘের চোখের সেই শক্তিই পরখ করার পরিকল্পনা ছিল।”