মোবাইল স্ক্রিনে রয়েছে নগ্ন নারীর ছবি। টুইটার থেকে নেওয়া ছবি।
পার্লামেন্টে তখন বাজেট বক্তৃতা চলছে। সেটাই শোনার কথা সাংসদ রোনাথেপ আনুওয়াতের। কিন্তু তার বদলে তিনি সেই সময়ে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আর সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়ে তাতে দেখা যায়, থাইল্যান্ডের এই সাংসদ সেই সময়ে মোবাইল ফোনে মগ্ন ছিলেন নগ্ন নারীর ছবি দেখায়। এক আধ মিনিটের জন্য নয়, দশ মিনিটের বেশি সময় ধরে তাঁর ছবি দেখার ছবি তোলা হয়। কিন্তু তিনি কিছুই বুঝতে পারেননি, এতটাই মগ্ন ছিলেন মোবাইল স্ক্রিনে। পরে অবশ্য তিনি বলেন, তাঁর কাছে সাহায্য চাওয়া এক মহিলা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছিলেন ছবি দেখে দেখে।
এই ঘটনা দিন কয়েক আগের। থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে প্রেস গ্যালারি থেকে সাংবাদিকদের নজরে পড়ে যে, এক মনে নিজের মোবাইল ঘাটছেন ওই সাংসদ। স্পষ্টই দেখা যায়, মোবাইল স্ক্রিনে রয়েছে নগ্ন নারীর ছবি। একের পর এক ছবি দেখেই চলেছেন সাংসদ। চিত্র সাংবাদিকরা সাংসদের ছবি দেখার ছবিও তুলতে শুরু করেন। দেখা যায়, ভাল করে ছবি দেখতে মাঝে মাঝে নিজের মাস্কও সরিয়ে নিচ্ছেন রোনাথেপ আনুওয়াত। এখন সেই সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রীতিমতো ভাইরাল।
মাস্ক খুলে যে সব ছবি সাংসদ দেখছেন তার মধ্যে কোনওটিতে রয়েছে উর্ধাঙ্গে পোশাক না থাকা মহিলা, কোনওটায় একটুও পোশাক না পরে বিছানায় শুয়ে থাকা ছবি। এমনকী যৌনাঙ্গের ক্লোজআপ ছবিতেও মগ্ন হতে দেখা গিয়েছে সাংসদকে। এ সব নিয়ে হইচই শুরু হতেই অবশ্য অবাক যুক্তি দেখিয়েছেন রোনাথেপ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ওই মহিলা নাকি তাঁর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। তাই ছবি দেখে বোঝার চেষ্টা করছিলেন, মহিলার বিপদ আদৌ কতটা। সাংসদের দাবি, তিনি শুধু সাহায্য চাওয়া মহিলার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করেছেন, আর কিছুই নয়।
আরও পড়ুন: প্লে স্টোর থেকে পেটিএম অ্যাপ সরল, জুয়া নিয়ে নীতি প্রকাশ গুগলের
আরও পড়ুন: ঘড়িতেই টাকা মেটানোর সুযোগ এসবিআই গ্রাহকদের
এটুকুই নয়। সাংসদ এমনটাও বলেছেন যে, মহিলার দাবি মতো কিছু দুষ্কৃতী জোর করে এমন সব নগ্ন ছবি তুলেছে। সেসবই যাচাই করছিলেন তিনি। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত জানতে পেরেছেন, মহিলা তাঁর কাছে টাকা চান। আর সেটা জানার পরেই সব ছবি ডিলিট করে দিয়েছেন।
দেখুন সেই পোস্ট: