China

চিনে বিয়েতে অনীহা বাড়ছে, বলছে সমীক্ষা

গত বছর রেকর্ড সংখ্যক কম বিয়ে হয়েছে এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে জনসংখ্যার দেশে। বিয়ের হারের ক্রমবর্ধমান অধোগতির প্রধান কারণ যে গাহর্স্থ্য হিংসা, তা মেনে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞ থেকে আমজনতা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩ ০৮:৪৯
Share:

—প্রতীকী ছবি।

চিনের তরুণ প্রজন্ম কি ক্রমশ বিয়ে-বিমুখ হয়ে যাচ্ছে!

Advertisement

সম্প্রতি সে দেশের ‘ন্যাশনাল বুর‌্যো অব স্ট্যাটিসটিক্স’-এর প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। সমীক্ষায় উল্লেখ, ২০১৩ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রথম বার বিয়ে করছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কমেছে ৪১ শতাংশ। কিন্তু সংসার পাততে অনীহা কেন? রিপোর্ট বলছে, দাম্পত্য জীবনে প্রবেশে বিমুখতার মূল কারণ গার্হস্থ্য হিংসার প্রতি ভয়। এ ছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস, লিঙ্গ বৈষম্যের মতো কারণও রয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ বছরে বিয়ের হার কমেছে চিনে। গত বছর রেকর্ড সংখ্যক কম বিয়ে হয়েছে এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে জনসংখ্যার দেশে। বিয়ের হারের ক্রমবর্ধমান অধোগতির প্রধান কারণ যে গাহর্স্থ্য হিংসা, তা মেনে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞ থেকে আমজনতা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ক’দিন আগে চিনের সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিয়ো। তাতে দেখা যায়, এক মহিলার উপর দিয়ে বার বার গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। এক সময় গাড়ি থামিয়ে ওই ব্যক্তি দেখার চেষ্টা করছেন, তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে কি না। বৈবাবহিক জীবনে অশান্তির কারণেই তিনি এমনটি করেছিলেন বলে পরে জানা যায়। এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে চিনের পুলিশ। তবে ‘ট্রেন্ডিং’ এই ভিডিয়ো দেখে অনেকে, বিশেষত মহিলারা সমাজমাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের অসহায়তার কথা জানিয়েছেন। অনেকের মন্তব্য, গার্হস্থ্য হিংসায় জেরবার তাঁদের জীবন। এক মহিলা নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে লেখেন, স্বামীর মারধরের ফলে বেশ কিছু সপ্তাহ হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে তাঁকে। তিনি জানান, বিয়ের প্রথম ২৪ মাসের মধ্যে ১৬ বার স্বামীর হাতে নিগৃহীত হতে হয়েছে তাঁকে। বিবাহবিচ্ছেদের চেষ্টা করলেও জুটেছে অত্যাচার-নিপীড়ন। এই ঘটনা ছাড়াও, গার্হস্থ্য হিংসার জেরে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে, এমন ঘটনাও চিনের সমাজে এখন বেশ পরিচিত ঘটনা।

অবশ্য, গত বছর চিনে বিবাহবিচ্ছেদের হার ছিল বেশ কম। তবুও তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নানা মহল। তাদের দাবি, কঠোর বিধিনিষেধ ফলেই কমেছে বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা। তবে এর প্রভাবও পড়েছে বিয়ের উপরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement