যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজ়ায় মৃত্যুমিছিল। —ফাইল চিত্র।
প্রায় তিন হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে গাজ়ায়। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে সাত হাজারের গণ্ডি। যুদ্ধের ১৯ দিনে এমনই পরিসংখ্যান প্রকাশ করল প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ইজ়রায়েল গাজ়ার উপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেই চলেছে। তাদের সেনার দাবি, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হামাসের অন্যতম শীর্ষ এক কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম হাসান আল-আবদাল্লাহ্।
গাজ়ায় ঢুকে স্থলপথে অভিযান চালানোর পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে কবে কখন সেই অভিযান শুরু হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। যে কোনও মুহূর্তে ইজ়রায়েলি ফৌজের আক্রমণের সম্ভাবনা ছিল। তার মাঝে বৃহস্পতিবার দেখা যায়, স্থল-অভিযান শুরু হয়ে গিয়েছে। একের পর এক ইজ়রায়েলি ট্যাঙ্ক গাজ়ায় ঢুকছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আগে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়ে দেন, গাজ়ায় স্থলপথ অভিযানের সিদ্ধান্ত ইজ়রায়েলের নিজস্ব। আমেরিকার তাতে কোনও হাত নেই। তবে যুদ্ধে আমেরিকা ইজ়রায়েলের পাশেই আছে।
বৃহস্পতিবার প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলায় মোট ৭,০২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ২,৯১৩।
অন্য দিকে, ইজ়রায়েলি ফৌজ বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, গাজ়ায় রাতভর আকাশপথে হামলা চালিয়েছে তারা। স্থলপথেও সাঁজোয়া বাহিনী আক্রমণ চালায়। নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করে করে তারা বোমা ফেলেছে। তাতেই মৃত্যু হয়েছে হামাসের অন্যতম শীর্ষ যোদ্ধা হাসানের। গাজ়ায় হামাসের পণবন্দি হয়ে এই মুহূর্তে রয়েছে ২২৪ জন ইজ়রায়েলি নাগরিক। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নেতানিয়াহুর সেনা।
গত ৭ অক্টোবর প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায়। সেই হামলায় বহু ইজ়রায়েলি নাগরিকের মৃত্যু হয়। অনেককে পণবন্দি করে নিয়ে যায় হামাস। অতর্কিত এই হামলার পরেই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন নেতানিয়াহু। তার পর থেকে ইজ়রায়েলের প্রত্যাঘাতে মৃত্যুমিছিল দেখছে গাজ়া। যুদ্ধে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলি ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভারতকেও পাশে পেয়েছে ইজ়রায়েল। তবে হামাসকে সহযোগিতা করছে পশ্চিম এশিয়ার আর এক শক্তিশালী দেশ ইরান। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লাও হামাসের সমর্থনে অস্ত্র ধরা এবং ইজ়রায়েলে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।