—ছবি সংগৃহীত।
কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সঙ্কটে। আগামী ৩১ অগস্ট পর্যন্ত আমেরিকার নাগরিকদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলাকালীন আরও হামলা হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন আমেরিকার সেনাবাহিনীর জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি।
বৃহস্পতিবার সন্ধের দিকে হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণের ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলেছে বিভিন্ন সূত্র থেকে। আহতের সংখ্যাও প্রচুর। ওই ঘটনায় ১৩ জন আমেরিকান সেনাও নিহত হয়েছেন। ওই দিনই গভীর রাতে হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। তার পরই হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সুরে সুর মিলিয়েই ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘‘জঙ্গিদের খুঁজে বের করবেই আমেরিকা। এই মুহূর্তে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। আগামী কয়েক দিনে আরও হামলা হতে পারে, এমনই তথ্য রয়েছে আমাদের কাছে।’’ তবে বৃহস্পতিবারের হামলার ঘটনায় আইএস জঙ্গি সংগঠনকে তালিবান সত্যিই সাহায্য করেছে কি না, সে ব্যাপারে এখনও কোনও তথ্য-প্রমাণ হাতে আসেনি বলেই জানিয়েছেন তিনি।
আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেসও বলেন, ‘‘আমি খুই চিন্তিত এই পরিস্থিতিতে। এই ধরনের হামলা চালানোই কাজ আইএসের। যত ক্ষণ না আমরা ওখান থেকে বেরোতে পারছি, তত ক্ষণ নিশ্চিন্ত হতে পারছি না। আমরা ওখান থেকে বেরিয়ে এলেও আফগানদের উপর এই ধরনের হামলা চলতে থাকবে।’’
বস্তুত, গতকালের হামলার আগেও ওয়াশিংটন একই ভাবেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু তার পরও কী ভাবে এত ব়ড় বিস্ফোরণ ঘটে গেল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।