ফাইল ছবি
২০১৪ সালের আগে ‘দিল্লির সংবাদমাধ্যম’ তাদের ‘প্রিয় এবং পছন্দের’ লোককেই জাতীয় নেতা হিসেবে তুলে ধরত। এই উক্তি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের।
মঙ্গলবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে প্রকাশিত সংকলন গ্রন্থ ‘মোদী@২০: ড্রিমস মিট ডেলিভারি’ নিয়ে আলোচনায় বিদেশমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়, “জোট সরকার চলাকালীন দশকের পর দশক ধরে জাতীয় নেতার ভাবমূর্তিটিকে নানা ভাবে লাঞ্ছিত হয়েছে। দিল্লির সংবাদমাধ্যম তো এই মর্যাদা দিয়েছে তাদের প্রিয় ও পছন্দের মানুষকেই। ২০১৪ সালের পর থেকে নরেন্দ্র মোদীই সেই ব্যক্তিত্ব, যাঁকে জাতীয় নেতা হিসেবে গণ্য করা যায়।”
গত মাসে বইটি প্রকাশ করেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। বিদেশমন্ত্রী আজ বলেন, যাঁরা সরকারের বাইরে রয়েছেন, তাঁরাই এই বইয়ের বেশির ভাগ জুড়ে লিখেছেন। মোদী এমন এক জন প্রধানমন্ত্রী যিনি দেশের আবেগ এবং আকাঙ্ক্ষাকে ধরতে পেরেছেন। খেলাধুলো, বাণিজ্য, গণজীবন— সব রকম দিক থেকে তাঁকে এই বইতে তুলে ধরা হয়েছে। জয়শঙ্করের কথায়, ‘‘এক জন নেতা কী ভাবে তৈরি হন? মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এই প্রশ্ন রাজনীতির এক জন মেধাবী ছাত্রকে বিভ্রান্ত করে রাখত। ১৯৪৭ সালে তাঁরাই ছিলেন জাতীয় নেতা, যাঁদের নাম সমস্ত রাজ্যে স্মরণ করা হত।”
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, মন্ত্রী হওয়ার পরে ক্রমশ মোদীর জাতীয়তাবাদী বিদেশনীতি এবং দেশাত্মবোধের রাজনীতিকে আত্মস্থ করে নিতে দেখা গিয়েছে পেশায় কূটনীতিক জয়শঙ্করকে। আজ তিনি বলেছেন, “মনে করতে পারি, প্রধানমন্ত্রী সব সময়েই সন্ত্রাসবাদ এবং সার্বভৌমত্বের উপরে জোর দিয়েছেন। বিদেশে যেন আমরা প্রত্যেকে একই সুরে কথা বলি, এটা খুবই জরুরি। বিশেষ করে চিন প্রসঙ্গে। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ এসেছে, প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাস চললে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। এই দৃঢ় সংকল্পই ২০১৪ সালের পর থেকে আমাদের পাকিস্তান নীতিকে তৈরি করেছে।”