চলতি বছরে এই নিয়ে তিন বার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মোদী। ফাইল ছবি
জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজ়ো আবের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টোকিয়ো রওনা হলেন নরেন্দ্র মোদী। বিদেশসচিব বিনয় কোয়াত্রা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর এ বারের জাপান সফরের মেয়াদ ১২-১৬ ঘণ্টা। অনুষ্ঠানে অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রনেতারা এলেও অন্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নেই। তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার সঙ্গেবৈঠক হবে মোদীর। সেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। কোয়াত্রার কথায়, “ভারত-জাপান সামগ্রিক সম্পর্কের উপর চটজলদি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন দুই নেতা। তার বর্তমান অবস্থা, দিশামুখ, ভবিষ্যতের দিকেও তাকানো হবে।”
চলতি বছরে এই নিয়ে তিন বার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মোদী। মার্চ মাসে কিশিদা দিল্লি এসেছিলেন। তার পরে কোয়াড বৈঠকে যোগ গিতে জাপানে যান মোদী। সেখানে তাঁদের পার্শ্ববৈঠক হয়। শিনজোর স্ত্রী আকি আবের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন মোদী।
কাল শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী-সহ কুড়িটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা উপস্থিত থাকবেন। তা ছাড়া, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, রুশ প্রেসিডেন্টের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত মিখাইল সুদোকয়, চিনের রাজনীতি বিষয়ক পরামর্শদাতা কমিটির ভাইস চেয়ারপার্সন ওয়াং গ্যাং-সহ থাকবেন প্রায় ১০০ দেশের শীর্ষকর্তারা। শেষকৃত্যে আসার কথা কমপক্ষে ৬ হাজার আমন্ত্রিতের। খরচ অন্তত ১.২ কোটি ডলার। সরকার এত বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নাগরিকেরা। তাঁদের দাবি, অতিমারিতে বিধ্বস্ত জাপানের অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে শেষকৃত্যের জন্য এত খরচ করার যৌক্তিকতা নেই।