নিজস্ব চিত্র
করোনা টিকাকরণে রাজ্যের মাথায় নতুন শিরোপা। বীরভূমের নানুরের পাপুড়ি গ্রামের সকল প্রাপ্তবয়স্কের টিকাকরণ শেষ হয়েছে সোমবার। এমনটাই দাবি প্রশাসনের। দেশে প্রথম একশো শতাংশ মানুষের টিকাকরণ হয়েছিল কাশ্মীরের বন্দিপোরা জেলার ওয়াভেন গ্রামে। এ বার সেই কৃতিত্ব অর্জন করল এ রাজ্যও।
পাপুড়ি গ্রামের পাঁচ হাজার বাসিন্দার মধ্যে চার হাজার ৮০০ জনের টিকাকরণ সোমবার শেষ হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এঁদের বেশিরভাগই প্রথম টিকা পেয়েছেন। দ্বিতীয়টি নির্দিষ্ট সময়ে পাবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বাকি ২০০ জন কর্মসূত্রে ভিন্রাজ্যে থাকেন বলে প্রশাসনের দাবি। এই সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত প্রশাসনিক কর্তারা। বীরভূমের অতিরিক্ত জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত সুকুল বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করেছিলাম যাতে করোনার টিকা যেন প্রত্যেকে পান। এই গ্রামের ৫ হাজার জনসংখ্যা। সকলে অন্তত প্রথম টিকা পেয়েছেন। এটাই আমাদের প্রচেষ্টা ছিল। যাতে তৃতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় আমরা তার প্রস্ততি নিয়েছিলাম। তাতে আমরা সাফল্য পেয়েছি। এটা গৌরবের দিন।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে সোমবার ২০০ জন টিকা নিয়েছেন। টিকা নিতে গিয়েছিলেন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা দেলওয়ার জাহান। প্রথম টিকা নেওয়ার পর দেলওয়ার বলেন, ‘‘সকলেরই টিকা নেওয়া উচিত। গ্রামের সকলকে ভাল ভাবে বোঝানো হয়েছে। তাই প্রত্যেকে টিকা নিয়েছেন।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে গ্রামে টিকাকরণ নিয়ে কিছুটা বাধার মুখে পড়েছিলেন স্বাস্থ্য এবং প্রশাসনের কর্তারা। তবে টিকাকরণ নিয়ে প্রচারের কাজে নামানো হয় আশাকর্মীদের। সরকারি আধিকারিকরাও বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের করোনার বিপদের কথা তুলে ধরেন। এর পরই পরিস্থিতির বদল হয়। বাধা কাটিয়ে সাফল্যের মুখ দেখতে পেয়ে খুশি প্রশাসনিক কর্তারা। নানুরের বিডিও শৌভিক ঘোষাল বলেন, ‘‘অনেকের মনে করোনার টিকা নিয়ে ভয় তৈরি হয়েছিল। টিকা দেওয়ার জন্য আমরা প্রতি সপ্তাহে শিবির করেছি। আমরা একটি গ্রামের সকলকে টিকা দিতে পেরেছি। এর ফলে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা কেটে যাবে। এত বড় উদ্যোগ কমই নেওয়া হয়েছে।’’