ছবি- রয়টার্স
এ যেন গত বছরেরই পুনরাবৃত্তি। শুধু সাধারণ মানুষই নন, বিশ্বের বহু রাজনৈতিক নেতাদের জন্যও সময়টা অত্যন্তই খারাপ। কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্রাজিল-সহ বহু দেশের সরকারই এখন নাগরিকদের রোষের মুখে। নাগরিক বিক্ষোভের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন সেই সব দেশের তাবড় তাবড় নেতারা।
অতিমারি মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত বিশ্বের আটটি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা বাধ্য হয়েছেন পদত্যাগ করতে। গত মার্চেই ইকুয়েডরের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন রোডল্ফো ফারফান। তাঁর বিরুদ্ধে টিকাকরণে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছিল। মাস তিনেক আগেই ওই পদে বসেছিলেন রোডল্ফো। অদ্ভুত ভাবে তার আগে যিনি ওই পদে ছিলেন, তাঁকেও পদত্যাগ করতে হয়েছিল।
দেশের কোভিড পরিস্থিতি সামলানোর জন্য তাঁর চেয়ে যোগ্য ব্যক্তির প্রয়োজন, এই কারণ দেখিয়ে গত এপ্রিল মাসে পদত্যাগ করেছিলেন অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুডল্ফ অ্যান্সচোবার। গত মে মাসে ইরাকের একটি কোভিড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রায় ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। অক্সিজেনবাহী ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছিল, যার অব্যবহিত পরেই পদত্যাগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান আল-তামিমি। টিকাকরণ কর্মসূচিতে কিছু অসঙ্গতি প্রকাশ্যে আসতেই ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করেন আর্জেন্টিনার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিনেস গোলজালেস গার্সিয়া।
সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ছ’জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হওয়ায় খোদ প্রধানমন্ত্রীর চাপে পড়েই পদত্যাগ করতে হয় জর্ডনের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। দেশে টিকাকরণ শুরুই হয়নি, তার আগেই টিকা পেয়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। টিকা দুর্নীতির অভিযোগ জোরালো হতেই ইস্তফা দিতে হয় পেরুর স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। রুশ টিকা স্পুটনিক ভি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করায় শরিক দলের চাপে পড়ে মার্চে পদত্যাগ করেন স্লোভাকিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে মা ও তাঁর সদ্যোজাতের মৃত্যু হওয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে গোটা মন্ত্রিসভাই পদত্যাগ করেছিল মঙ্গোলিয়ায়। কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় গত বছর পদত্যাগ করেছিলেন নিউজিল্যান্ড, ব্রাজিল এবং চেক প্রজাতন্ত্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা।