মেটায় একগুচ্ছ নতুন কর্মী নিয়োগ করবেন জ়াকারবার্গ। ফাইল ছবি।
ছাঁটাই পর্ব শেষ হলেই নতুন শুরুর পথে হাঁটবেন ফেসবুকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেটার কর্ণধার মার্ক জ়াকারবার্গ। তিনি নতুন করে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে খবর। সম্প্রতি ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা জ়াকারবার্গ নিজেই ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার জ়াকারবার্গ জানান, তিনি কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ হাজার মেটা কর্মীর চাকরি যাবে। আরও ৫ হাজার খালি পদে নিয়োগও আপাতত বন্ধ রেখেছে সংস্থা। এই ছাঁটাই পর্ব শেষ হলেই নতুন করে কর্মী নিয়োগ করা হবে।
মাস চারেক আগেই আরও এক বার গণছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছিল মেটা। তখন এক ধাক্কায় প্রায় ১১ হাজার কর্মীর চাকরি গিয়েছিল। যা সংস্থার মোট কর্মীসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ।
বর্তমানে মেটায় কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া একেবারেই স্থগিত রাখা হয়েছে। নতুন করে কাউকে নিয়োগ করা হচ্ছে না। ছাঁটাই প্রক্রিয়া শেষ হলে আবার কর্মী নিয়োগ করবেন জ়াকারবার্গ। ফলে এই সংস্থায় চাকরিপ্রার্থীরা নতুন সুযোগ পাবেন।
২০২৩ সালের শুরু থেকেই মেটা কর্মীরা আশঙ্কায় ভুগছেন। এই বছরটিকে জ়াকারবার্গ মেটার কার্যক্ষমতার বছর বলে উল্লেখ করেছিলেন। তার পরেই কর্মীরা আন্দাজ করেছিলেন, দ্বিতীয় দফায় গণছাঁটাই হতে পারে। যে কোনও সময় যে কোনও অবস্থায় তাঁদের চাকরি চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন। কারা চাকরি হারাবেন, কাদের চাকরি বজায় থাকবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার জ়াকারবার্গের ঘোষণার পর ছাঁটাইয়ের আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।
মেটা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগামী ৪ মাসে ধাপে ধাপে কর্মী ছাঁটাই করা হবে। তবে কোন দেশের কর্মীদের উপর জ়াকারবার্গের কোপ পড়তে চলেছে, তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, ভারতীয় কর্মীদের ভবিষ্যৎ কী হবে? মেটার ঘোষণায় তা-ও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার ধনকুবের ইলন মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণের পরেই পৃথিবীর একাধিক দেশ থেকে বহু সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করেছিল মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার। তার সপ্তাহ দুয়েক পর থেকেই কর্মী ছাঁটাই শুরু করে মেটা।