ভারত সরকারের তরফে ইন্টারপোলের ওয়ান্টেড তালিকা থেকে মেহুলের নাম মুছে ফেলার সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করা হয়েছিল। ফাইল চিত্র ।
ভারত থেকে পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোক্সীর উপর থেকে রেড কর্নার নোটিস সরিয়ে নিল ইন্টারপোল। সোমবার ইন্টারপোলের তরফে এই কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তিনি অ্যান্টিগা থেকে অপহৃত হয়েছেন বলে মেহুল যে দাবি করেছিলেন, তাতেও বিশ্বাসযোগ্যতা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে ইন্টারপোলের দাবি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মেহুলকে ‘রেড কর্নার নোটিস’ভুক্ত করা হয়েছিল। মেহুলের নামের পাশ থেকে রেড কর্নার নোটিস সরানোর অর্থ, মেহুল এখন অনায়াসে অ্যান্টিগা থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন।
ভারত সরকারের তরফে ইন্টারপোলের ওয়ান্টেড তালিকা থেকে মেহুলের নাম মুছে ফেলার সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করা হয়েছিল। কিন্তু ইন্টারপোল সেই বিরোধিতা মেনে নেয়নি। ইন্টারপোলের এই সিদ্ধান্ত সিবিআই এবং ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার জন্য ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইন্টারপোলের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মেহুলকে অ্যান্টিগা থেকে ডমিনিকাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। উনি ভারতে ফিরে গেলে ন্যায্য বিচার বা চিকিৎসা না-ও পেতে পারেন।’’
২০২১ সালে মেহুল অভিযোগ করেন, সে বছরের ২৩ মে ভারতীয় গোয়েন্দারা তাঁকে অ্যান্টিগা থেকে অপহরণ করে ডমিনিকা নিয়ে যান। সেখানে তাঁর উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়। অ্যান্টিগা থেকে তাঁর ‘অপহরণ’-এর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং রেড কর্নার নোটিস সরানোর দাবি নিয়ে মেহুল গত বছর ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
সংবাদমাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, “আমরা (ভারত) দৃঢ় ভাবে ইন্টারপোলের অভিযোগের বিরোধিতা করেছি এবং জানিয়েছি যে যদি ওঁর (মেহুলের) রেড কর্নার নোটিস সরিয়ে দেওয়া হয়, তা হলে তিনি অ্যান্টিগা থেকে পালিয়ে যেতে পারেন। এর ফলে তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে আনা মুশকিল হবে। এ ছাড়াও তিনি একাধিক মামলায় ওয়ান্টেড অপরাধীদের তালিকায় রয়েছেন।”
হিরে ব্যবসায়ী মেহুল ১৩ হাজার কোটি টাকার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। তাঁর কীর্তি প্রকাশ্যে আসতেই তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি অ্যান্টিগার নাগরিক।