নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
পরীক্ষা ভাল হয়নি। এই কারণে বাবা-মায়ের বকুনি খেতে হত তাকে। বকুনি থেকে রেহাই পেতে মিথ্যা শ্লীলতাহানির অভিযোগ করল ১৪ বছরের এক নাবালিকা। ঘটনাটি উত্তর পূর্ব দিল্লির ভজনপুরা থানা এলাকার। সোমবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। এমনকি, শ্লীলতাহানি, অপহরণের মামলাও রুজু করা হয়। কিন্তু পরে তদন্তে নেমে পুলিশ বুঝতে পারে যে, ছাত্রী মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এর পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই আসল সত্যিটা জানা যায়।
ঘটনাটি গত ১৫ মার্চের। ছাত্রী অভিযোগ করে যে, স্কুল ছুটির পর ৩ নাবালকের সঙ্গে তার বচসা বেধেছিল। সেই সময় তাকে টেনে নিয়ে যায় ওই নাবালকরা। আর এতেই তার হাতে চোট লাগে। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এলাকার সিসিটিভই ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। তাতে দেখা যায় যে, সেই সময় ছাত্রী একাই ঘোরাফেরা করছিল সেখানে। এর পরই মহিলা পুলিশ কর্মীরা ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখনই আসল ঘটনাটি জানায় ছাত্রী।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছাত্রী জানায় যে, গত ১৫ মার্চ তার সোশ্যাল স্টাডিজের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা ভাল হয়নি। বাবা-মার বকুনির ভয়ে সিঁটিয়ে ছিল সে। এর থেকে রেহাই পেতেই এই গল্প ফাঁদে ছাত্রী। স্কুলের কাছে একটি দোকান থেকে ব্লেড কেনে। পরে নিজেই ব্লেড দিয়ে হাত কাটে সে। পরে ছাত্রীর বক্তব্য শোনার পর মামলাটি তুলে নেওয়া হয়।