রটেরডামের সেই হাসপাতাল। ছবি: রয়টার্স।
নেদারল্যান্ডসের রটরডামে বন্দুকবাজের হানায় অনেকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রটরডাম শহরের হাসপাতাল এরাসমাস ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারে এক যুবক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। হাসপাতালটি স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন হওয়ায় সেখানে অনেক পড়ুয়াও ছিলেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কত জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, কত জনের মৃত্যু হয়েছে, পরিসংখ্যান এখনও স্পষ্ট নয়।
রটরডামের ডাচ পোর্ট সিটি এলাকায় বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, হাসপাতালের পাশাপাশি নিকটবর্তী একটি বাড়িতেও হামলা চালান বন্দুকবাজ। অনেকেই আহত হয়েছেন। আল জাজ়িরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডাচ পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকবাজকে তারা গ্রেফতার করেছে। তাঁর বয়স ৩২ বছর। এক জনই এই হামলা করেন বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান। আর কেউ তাঁর সঙ্গে ছিলেন না।
হামলায় অনেকের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তারা কোনও স্পষ্ট পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে পারেনি। বিবিসি জানিয়েছে, অন্তত দু’জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, বয়স ৪২ বছর। এ ছাড়া, ৩৯ বছরের এক মহিলারও মৃত্যু হয়েছে গুলির আঘাতে। ওই মহিলার ১৪ বছরের কন্যা গুরুতর জখম। মৃতদের পরিবারকে খবর দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র ছিলেন অভিযুক্ত যুবক। কেন তিনি হামলা চালিয়েছেন, তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রটরডামের ঘটনার বেশ কিছু ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে পড়ুয়াদের ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের অনেকের পরনে ছিল মেডিক্যাল অ্যাপ্রন। চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। পুলিশ তাঁদের এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, তা-ও দেখা গিয়েছে ভিডিয়োতে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।