Maine shooting

‘কণ্ঠস্বর’ শোনার কথা বলত রবার্ট, তদন্তে প্রকাশ

আমেরিকার স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় মেন প্রদেশের লুইসটন শহরে ঘটে যাওয়া বন্দুকবাজের জোড়া হামলায় মূল সন্দেহভাজন হিসেবে রবার্টকে খুঁজছে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:২২
Share:

রবার্ট কার্ড।

অগাস্টা, ২৬ অক্টোবর: আমেরিকার মেন প্রদেশের বোডিন শহরের বাসিন্দা লিয়াম কেন্ট জানতেন, রবার্ট কার্ড বা তার পরিবারের লোককে ঘাঁটানো বিপজ্জনক হতে পারে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সেই কথাই জানিয়েছেন তিনি। লিয়ামের মতো আরও বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের অনুমান, নিজের শহর বোডিনে রবার্ট আর যাই হোক, বন্ধুভাবাপন্ন বলে পরিচিত ছিল না।

Advertisement

আমেরিকার স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় মেন প্রদেশের লুইসটন শহরে ঘটে যাওয়া বন্দুকবাজের জোড়া হামলায় মূল সন্দেহভাজন হিসেবে রবার্টকে খুঁজছে পুলিশ। তার ছবি ও পরিচয় প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে বিশেষ বিবৃতি। প্রকাশ করা হয়েছে তার গাড়ির ছবিও। বার বার শহরবাসীকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ঘর থেকে না বেরোতে এবং সন্দেহজনক কিছু দেখলেই পুলিশকে জানাতে।

তদন্তে জানা গিয়েছে, বছর ৪০-এর রবার্ট কার্ড আগে সেনায় ছিল। অবসর গ্রহণের পরে আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষকের কাজ করত সে। বেশ কয়েক বার গার্হ্যস্থ হিংসার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিন সন্তানের পিতা রবার্টের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে দু’বার। তার শেষ স্ত্রীর আবেদনে আদালত তার বিরুদ্ধে ‘রিস্ট্রেনিং অর্ডার’ জারি করে। অর্থাৎ রবার্ট চাইলেও স্ত্রী বা সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে পারবে না।

Advertisement

লিয়াম কেন্টের কথায়, রবার্ট ও তার পরিবার সকলেরই অত্যাধিক বন্দুক-প্রীতি রয়েছে। বদমেজাজি ছিল কার্ড। রবার্টের প্রাক্তন সহকর্মী ক্লিফর্ড স্টিভস আবার জানিয়েছেন, ভদ্র ও ঠান্ডা মাথার মানুষ ছিল রবার্ট। তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগে তিনি অবাক।

এ বছরের গোড়া থেকে রবার্ট মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিল। দু’সপ্তাহের জন্য মানসিক হাসপাতালেও সে ভর্তি হয়। জানা গিয়েছে, নিজের মাথার মধ্যে অন্য কারও কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছে সে, এমন অভিযোগ সে প্রায়ই করত। এক বার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই গুলি চালানোর হুমকি দিয়েছিল। যদিও কার্ডের আত্মীয়া কেটি ও’নিল জানিয়েছেন, রবার্টের কোনও রকম দীর্ঘকালীন মানসিক সমস্যা ছিল না।

তার সন্ধানে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে মেনের পুলিশ। আশঙ্কায় কাঁটা হয়ে রয়েছেন লুইসটন
শহরের মানুষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement