মুখের সামনে খাবার গেলে পাখির ঠোঁটের মতো ফাঁক হচ্ছে মাস্কও। ছবি: টুইটার।
চিনে কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। সে দেশের শীর্ষ সরকারি আধিকারিকদের আশঙ্কা ছিল, ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে কোভিডে আক্রান্ত হতে পারেন ২৫ কোটি মানুষ। কড়া কোভিডবিধি জারি থাকার পরেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি সংক্রমণ। হাসপাতালে কোনও শয্যাই প্রায় খালি নেই। শেষকৃত্যের জন্যও পড়েছে দীর্ঘ লাইন। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কৌশলও বার করে ফেলেছেন সে দেশের জনগণ। সে রকমই এক ভিডিয়ো এখন ভাইরাল।
কোভিড ঠেকাতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে চিনে। সরকারের নির্দেশকে শিরোধার্য করেছেন এক ব্যক্তি। খেতে বসেও মাস্ক খোলেননি। বরং বিশেষ এক রকম মাস্ক পরেই খেয়ে চলেছেন তিনি। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল।
ভিডিয়োতে দেখা গেল, রেস্তোরাঁয় বসে খাচ্ছেন এক ব্যক্তি। মুখে পাখির ঠোঁটের মতো মাস্ক। মুখের সামনে খাবার গেলে পাখির ঠোঁটের মতো ফাঁক হচ্ছে সেই মাস্কও। তার পর তিনি মুখে পুরে দিচ্ছেন খাবার। মাস্কটি কাগজের তৈরি।
ভিডিয়োটি টুইটারে পোস্ট করেছে সাফির বলে এক ব্যক্তি। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ১৭ সেকেন্ডের ভি়ডিয়োটি পোস্ট হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১৮ হাজার বার দেখা হয়েছে। ভিডিয়ো দেখে সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা হেসে খুন। অনেকেই জিজ্ঞেস করেছেন, কোথায় পাওয়া যাবে এই মাস্ক।
চিনের সরকারি সূত্র বলছে, চলতি সপ্তাহে এক দিনে চিনে প্রায় তিন কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রবীণদের টিকাকরণের আওতায় আনা যায়নি বলেই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত। চিনের স্বাস্থ্য কমিশন শনিবার তাদের বুলেটিনে জানিয়েছে যে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪,১৩০ জন। তবে কারও মৃত্যু হয়নি এই সময়ের মধ্যে। জিয়াংজ়ি প্রদেশেও সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত বলে দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এই প্রদেশে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের বাস। আগামী মার্চের মধ্যে এই প্রদেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।