চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে একের পর এক বই লিখেছেন যুবক। প্রতীকী ছবি।
মানুষের কাজ আরও সহজ করে তুলতে কৃত্রিম মেধার জুড়ি নেই। সেই কৃত্রিম মেধা এ বার সৃজনশীলতাতেও হাত পাকিয়ে ফেলল। কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করে একের পর এক বই লিখে ফেললেন যুবক।
আমেরিকার যুবক টিম বচার বই লেখার কাজে কৃত্রিম মেধার চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছেন। গত কয়েক দিনে ১০০টি বই তিনি লিখেছেন। সব ক’টিই উপন্যাস। এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এতগুলি বই লেখা কৃত্রিম মেধার জন্যই সম্ভব হয়েছে।
শুধু লেখাই নয়, বইগুলির ৫০০-র বেশি কপিও ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। যুবক জানিয়েছেন, তাঁর বইগুলি অন্তত ৫ হাজার শব্দের। চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে কল্পবিজ্ঞানের উপর একের পর এক বই লিখে গিয়েছেন তিনি। কৃত্রিম মেধা যে মানুষের সৃজনশীলতাকে ধারালো করে তোলে, এর মাধ্যমে সে কথা প্রচারও করেছেন যুবক। অন্য উঠতি লেখকদের এ ভাবে বই লিখতে তিনি উৎসাহ দিয়েছেন।
শুধু চ্যাটজিপিটি নয়। কৃত্রিম মেধার একাধিক টুল ওই যুবক বই লেখার কাজে ব্যবহার করেছেন। এ ভাবে তিনি বইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে নতুন ভাবনাচিন্তা আমদানি থেকে শুরু করে লেখার কাজ, সবই করেছেন যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে।
যুবকের লেখা বইগুলি প্রত্যেকটিই একে অপরের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে সম্পর্কযুক্ত। ফলে একে ধারাবাহিক উপন্যাসের সিরিজও বলা যায়। বইগুলি এতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে, হু হু করে তা বিক্রি হয়েছে। কোনও কোনও পাঠক একসঙ্গেই সাত থেকে আটটি বই কিনেছেন। যুবকের দাবি, চ্যাটজিপিটি-ই তাঁর সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করেছে।