Israel Hamas Conflict

ইজ়রায়েলে আটকে কোলাঘাটের যুবক, ‘ছেলেটা ফিরবে তো?’ যুদ্ধের ভয়ে ঘুম উড়েছে পরিবারের

পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বাসিন্দা নীলাদ্রি রায়চৌধুরী। ক্যানসার নিয়ে গবেষণার কাজে গত দেড় বছর ধরে ইজ়রায়েলে আছেন তিনি। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাঙ্কারে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কোলাঘাট শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩ ২১:২৯
Share:

ইজ়রায়েলে গবেষণারত নীলাদ্রি রায়চৌধুরী এবং তাঁর পরিবার। — নিজস্ব চিত্র।

একসঙ্গে কালীপুজো কাটাবেন ভেবেছিলেন। ছেলে ফিরলে তাঁকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু যুদ্ধ এসে সব ঘেঁটে দিয়েছে। ছেলের ফেরার আশায় এখন হাপিত্যেশ করে বসে আছে কোলাঘাটের রায়চৌধুরী পরিবার। ইজ়রায়েলে বাঙ্কারের মধ্যে দিন কাটছে তাঁদের ছেলের।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বাসিন্দা নীলাদ্রি রায়চৌধুরী। ক্যানসার নিয়ে গবেষণার কাজে গত দেড় বছর ধরে ইজ়রায়েলে আছেন তিনি। ইজ়রায়েল সরকারের ফেলোশিপ পেয়ে সেখানে গবেষণা করতে গিয়েছিলেন। আগামী ১ নভেম্বরই তাঁর দেশে ফেরার কথা ছিল। আচমকা যুদ্ধ শুরু হওয়ায় ভিন্‌দেশে আটকে গিয়েছেন। প্রশাসনের নির্দেশে তাঁদের বাঙ্কারে থাকতে হচ্ছে। তবে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পেরেছেন নীলাদ্রি।

কোলাঘাটের কেটিপিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস রায়চৌধুরীর পুত্র নীলাদ্রি। ২০২২ সালের ১ মার্চ ইজ়রায়েলের হাইফা শহরে যান তিনি। তাপস বলেছেন, ‘‘এক বছর সাত মাস ইজ়রায়েলে আছে আমার ছেলে। এত দিন কোনও সমস্যা ছিল না। গত শনিবারের পর থেকে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। ওদের বাঙ্কারে থাকতে হচ্ছে। ছেলের সঙ্গে খুব কম কথা হচ্ছে। ভিডিয়ো কল করা হচ্ছে না। ছেলেও আতঙ্কে রয়েছে।’’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরাও খুব আতঙ্কে আছি। মঙ্গলবার ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। ভাল আছে বলে জানিয়েছে। আমরা ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁরা ইজ়রায়েল দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেছেন।’’

নীলাদ্রির মা জয়িতা জানান, এখনও পর্যন্ত জল এবং খাবার পাওয়া যাচ্ছে ইজ়রায়েলে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যে কোনও মুহূর্তে তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘আশা করেছিলাম, কালীপুজোটা ছেলের সঙ্গে কাটাতে পারব। কিন্তু ঠিক সময়ে ও ফিরতে পারবে কি না, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। প্রার্থনা করছি, ছেলে যেন সুস্থ ভাবে ফিরে আসতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement